Gambhir On Suryakumar: ওঁকে টেস্টে সুযোগ দেওয়া হোক, সূর্যর শতরানের পরেই জোরাল দাবি গম্ভীরের
Suryakumar Yadav: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সূর্যকুমার যাদবের ১১২ রানের ইনিংসের পরেই তাঁকে টেস্ট দলে সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান গম্ভীর।
নয়াদিল্লি: বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। ২০২২ সালে তিনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ছিলেন। বছর বদলালেও সূর্যর ব্যাটিং ফর্ম অব্যাহত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বছরের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দুরন্ত অর্ধশতরান করেছিলেন। সিরিজ নির্ণায়ক তৃতীয় ম্যাচে শতরান হাঁকান সূর্য। ভারতের তারকা ব্যাটারের অনবদ্য শতরানের পরেই সমর্থক থেকে বিশেষজ্ঞ, সকলেই তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
টেস্টে সূর্য?
প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার গৌতম গম্ভীরও (Gautam Gambhir) সূর্যের ব্যাটিংয়ে মন্ত্রমুগ্ধ। সূর্যকুমারের অপরাজিত ১১২ রানের ইনিংসের পরেই তাঁকে ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগ দেওয়ার দাবি জানালেন গম্ভীর। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে গম্ভীর সূর্যের পক্ষে জোরাল সওয়াল করে লেখেন, 'দারুণ ইনিংস খেললে সূর্যকুমার যাদব। এবার ওঁকে টেস্ট ক্রিকেটে সুযোগ দেওয়ার সময় এসেছে।'
What a knock @surya_14kumar! Time to put him in test cricket! #SKYscraper pic.twitter.com/tvvoRTXEwp
— Gautam Gambhir (@GautamGambhir) January 7, 2023
এখনও অবধি ভারতের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট না খেললেও, সূর্যর প্রথম শ্রেণির রেকর্ড কিন্তু বেশ ভাল। ৪৪.৭৫-র গড়ে সূর্যকুমার মুম্বইয়ের ৭৯টি ম্যাচে ১৩২টি ইনিংসে মোট ৫৫৪৯ রান করেছেন। তিনি ১৪টি শতরান ও ২৮টি অর্ধশতরান করেছেন। প্রসঙ্গত, তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দুরন্ত ইনিংসের পর সূর্যকুমার যাদব তাঁকে স্বাধীনভাবে খেলতে দেওয়ার জন্য ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে (Rahul Dravid) ধন্যবাদ জানান। রাজকোটে গোটা ইনিংসে একাধিক স্কুপ শট খেলেন সূর্যকুমার, যা দেখে বিশেষজ্ঞ থেকে সমর্থক সকলেই মুগ্ধ। সূর্য জানান কঠোর অনুশীলনই তাঁর দুরন্ত ধারাবাহিকতা ও ক্রিকেটের তথাকথিকত 'টেক্সট বুক'র বাইরের শট নিরন্তরভাবে খেলতে পারার আসল কারণ।
অনুশীলনই সাফল্যের চাবিকাঠি
সূর্য বলেন, 'ম্যাচের প্রস্তুতির সময় নিজেকে চাপের মুখে ফেলাটা ভীষণই জরুরি। অনুশীলনে যতটা চাপে নিজেকে ফেলব, ম্যাচে ততই ভাল খেলার সম্ভাবনা বাড়বে। এই সবকিছুর পিছনে আমার কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। পিছনের দিকে বাউন্ডারিগুলি মাত্র ৫৯-৬০ মিটারের থাকে, তাই আমি সেই বাউন্ডারি পার করার চেষ্টা থাকি। কিছু কিছু সময় তো আগে থেকে কোন শট খেলব তা নির্ধারিতই থাকে। তবে অনেক সময় সেই শট খেলার মতো ঠিক জায়গায় বল না পেলে অন্য শট খেলতে প্রস্তুত থাকতে হয়। আমি সবসময় ফিল্ডারদের মাঝে ফাঁক খোঁজার চেষ্টা করি। দ্রাবিড়ও স্বাধীনভাবে আমায় নিজের খেলাটা খেলতে দেন।'
আরও পড়ুন: অধিনায়ক হার্দিকের ভরসাই সাফল্যের চাবিকাঠি, সিরিজসেরা হয়ে দাবি অক্ষরের