Mominul Haque: অশ্বিন, বুমরাদের আটকে গ্রিন পার্কে সেঞ্চুরি মোমিনুলের, দুশোর গণ্ডি পেরল বাংলাদেশ শিবির
IND vs BAN: দুটো আকাশ দীপের ও একটি ছিল অশ্বিনের শিকার। এদিন আরও তিনটি উইকেট পড়ল লাঞ্চ পর্যন্ত। অশ্বিন আরও একটি উইকেট নিলেন। সঙ্গে খাতা খুললেন বুমরা ও সিরাজও।
কানপুর: ম্য়াচের ফল আদৌ কিছু হবে না হয়ত। তবে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস কিছুটা ফিরল কানপুর টেস্টে। গ্রিন পার্কে চতুর্থ দিনে অবশেষে খেলা শুরু হল। আর মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান বোর্ডে তুলে নিল বাংলাদেশ শিবির। তার থেকেও বড় কথা ম্য়াচে দুরন্ত শতরান হাঁকালেন মোমিনুল হক। প্রথম দিনেই চল্লিশের ঘরে ছিলেন। এদিন দু ঘণ্টা ব্যাট করে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করে ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন। প্রথম দিনে তিন উইকেট পড়েছিল। দুটো আকাশ দীপের ও একটি ছিল অশ্বিনের শিকার। এদিন আরও তিনটি উইকেট পড়ল লাঞ্চ পর্যন্ত। অশ্বিন আরও একটি উইকেট নিলেন। সঙ্গে খাতা খুললেন বুমরা ও সিরাজও।
শনিবার ও রবিবার একটি বলও খেলা সম্ভব হয়নি গ্রিনপার্কে। এদিন যদিও নির্ধারিত সময়েই খেলা শুরু হয়েছিল। ১০৭/৩ থেকে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের ২ ব্যাটার মোমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। এদিনের প্রথম ওভার বল করেন আকাশ দীপ। বুমরাকে দ্বিতীয় ওভারে নিয়ে আসেন রোহিত। আর দিনের প্রথম ধাক্কাটাও দেন বুমরাই। মুশফিকুর ১১ রানের মাথায় ভারতের সেরা পেসারের শিকার হয়ে ফিরে যান। বোল্ড হয়ে যান তিনি। ১৩ রান করে ফিরে যান লিটন দাসও। তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফেরান মহম্মদ সিরাজ। শাকিবও রান পাননি। মাত্র ৯ রান করে আউট হন তিনি। ম্য়াচের যা গতিপ্রকৃতি তাতে ভারতের মাটিতে এটাই হয়ত শাকিবের শেষ টেস্ট ইনিংস খেলা হয়ে গেল ব্যাটার হিসেবে। একদিকে যখন উইকেট পড়ছে নাগাড়ে, উল্টোদিকে ক্রিজ আঁকড়ে পড়েছিলেন মোমিনুল। মেহদিকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোর দুশোর গণ্ডি পার করিয়ে দেন প্রাক্তন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২০৫/৬। মোমিনুল ক্রিজে আছেন অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংস খেলে। নিজের ইনিংসে ১৬টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান মোমিনুল। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন মেহদি হাসান মিরাজ। তিনি ৬ রান করে ক্রিজে আছেন।
কানপুর গ্রিন পার্কে টেস্ট আয়োজন নিয়ে কটাক্ষ করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বসিত আলি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বসিত আলি জানান, ''রাত থেকে আগের দিন বৃষ্টি হয়নি। তবুও ম্য়ানেজমেন্ট একটা মাঠ শোকাতে পারছে না। এতটাই খারাপ পরিস্থিতি? দুটো সুপার সপার ব্যবহার করেও মাঠ শুকনো যায়নি। এটার মানে কভার একেবারেই সঠিক মানের নয়। মাঠ ভেজাই ছিল পুরো দিন। জয় শাহ-র পরবর্তী যে বোর্ড সচিব হয়ে আসবেন, আমি চাইব কানপুরকে টেস্ট ম্য়াচ আয়োজন যাতে আর না করতে পারে, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন।''