T20 World Cup 2024: কেকেআরের হয়ে সুযোগই পাননি, সেই রাদারফোর্ডের ব্যাটে ভর করেই বিশ্বকাপের সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়
WI qualifies for Super 8: গ্রুপ 'সি'-তে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ দল হিসাবে সুপার এইটে পৌঁছে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়।
ত্রিনিদাদ: পাওয়ার প্লেতেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দল। এমন সময়ে ব্যাট হাতে ক্রিজে নামেন তিনি। সপ্তম ওভার শেষ হওয়ার মাত্র ৩০ রানে আধা ওয়েস্ট ইন্ডিজ় দল ফিরে গিয়েছে সাজঘরে। সাউদি, বোল্ট, লকি ফার্গুসনদের দাপটে জয়ের স্বপ্ন দেখছে নিউজ়িল্যান্ড দল। এমন পরিস্থিতিতে রুখে দাঁড়ালেন তিনি। খেললেন অনবদ্য ৬৮ রানের এক ইনিংস। শার্ফেন রাদারফোর্ডের (Sherfane Rutherford) এই ইনিংসই অন্যতম আয়োজক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) সুপার এইটে পৌঁছে দিল।
আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কেকেআর দলের অংশ ছিলেন রাদারফোর্ড। কিন্তু নাইট জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগই পাননি তিনি। তবে দেশের হয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে রাদারফোর্ড নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিলেন। কিউয়ি ফাস্ট বোলারদের দাপটে যখন নিকোলাস পুরান (১৭), রোভম্যান পাওয়েলরা (১) দাগ কাটতে ব্যর্থ হলেন, তখনই রাদারফোর্ড দলের ত্রাতা হয়ে সামনে এগিয়ে এলেন। আকিল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসে স্থিরতা প্রদান করার চেষ্টা করেন রাদারফোর্ড। দুইজনে ২৮ রান যোগ করেন। তবে আকিলকে ১৫ রানে ফিরিয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় সাফল্য় পান জিমি নিশাম।
আন্দ্রে রাসেল দুই চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে শুরুটা ভালই করেন। তবে ১৪ রানেই ট্রেন্ট বোল্ট রাসেলের ইনিংসে ইতি টানেন। এমন পরিস্থিতিতে রাদারফোর্ডকে সঙ্গ দেন রোমারিও শেফার্ড। ১৫তম ওভারে শতরানের গণ্ডি পার করে ক্যারিবিয়ান দল। একদিকে যেখানে বাকি ব্যাটাররা রান করতে চরম বিপাকে পড়ে, সেখানে ৩৩ বলে ৫০ রান পূরণ করেন তিনি। ১৯তম ওভারে ড্যারিল মিচেলের বিরুদ্ধে তিন ছক্কা হাঁকান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেটের বিনিময়ে ১৪৯ রান তোলে।
জবাবে ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্র কিউয়িদের হয়ে ইনিংসের শুরুটা খুব একটা আহামরি করতে পারেননি। ২০ রানে ভাঙে ওপেনিং পার্টনারশিপ। আকিল হোসেন পাঁচ রানে ফেরান কনওয়েকে। ফিন অ্যালেন ২৬ রানে আউট হন। পাওয়ার প্লেতে ওঠে দুই উইকেটে ৩৬ রান। তবে নিরন্তর ব্যবধানে উইকেট হারায় কিউয়ি দল। ফাস্ট বোলার আলজ়ারি জোসেফ এবং স্পিনার গদাকেশ মোতির যুগলবন্দিতে নাস্তানাবুদ হতে হয় কিউয়িদের। ব্যতিক্রম গ্লেন ফিলিপ্স। ৩৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। একেবারে শেষ ওভারে মিচেল স্যান্টনার শেফার্ডকে বেশ কয়েকটা ছক্কা হাঁকান। ২১ রানে অপরাজিতও থাকেন তিনি। তবে শেষমেশ নয় উইকেটে ১৩৬ রানের বেশি করতে পারেনি কিউয়িরা। এই জয়ের সুবাদেই তিন ম্যাচে তিনটি জিতে সুপার এইটে পৌঁছে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: ৫ রান পেনাল্টি! নতুন নিয়মে স্বপ্নভঙ্গ আমেরিকার, কপাল খুলে গেল রোহিতদের