WTC Final: দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা বোলিং আক্রমণ এটাই? কী বলছেন মহারাজ?
AUS vs SA Test: প্রোটিয়া বোলিং শিবিরে রয়েছেন লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাডা, মার্কো ইয়েনসেনের মত তারকা পেসার। এছাড়া স্পিন বিভাগে অভিজ্ঞ মহারাজ থাকছেন।

লন্ডন: আজ থেকে শুরু হতে চলেছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্সশিপের ফাইনাল। এখনও পর্য়ন্ত টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এবারও অজিরা ফাইনালে উঠেছে। অন্য়দিকে প্রথমবার ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চোকার্স তকমা ঘুচিয়ে আইসিসি ট্রফি জয়ের আরও একটি সুযোগ আছে এবার প্রোটিয়া বাহিনীর সামনে। কিন্তু উল্টোদিকে স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন, ওসমান খাওয়াজারা রয়েছেন। যাঁরা নিজেদের দিনে যে কোনও বোলিং লাইন আপের সামনে চিনের প্রাচীরের মত দাঁড়িয়ে পড়তে পারেন। তবে প্রোটিয়া স্পিনার কেশব মহারাজ আশাবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণ নিয়ে।
প্রোটিয়া বোলিং শিবিরে রয়েছেন লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাডা, মার্কো ইয়েনসেনের মত তারকা পেসার। এছাড়া স্পিন বিভাগে অভিজ্ঞ মহারাজ থাকছেন। আর মাত্র ২ টো উইকেট নিলেই যিনি টেস্টে ২০০ টেস্ট উইকেটের মালিক হয়ে যাবেন। মহারাজ বলছেন, ''আমাদের বোলিং আক্রমণে অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে। পেস, স্যুইং, উচ্চতা, আগ্রাসন, সবকিছুই রয়েছে প্রতিপক্ষ শিবিরের ব্যাটিং লাইন আপকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার জন্য।''
এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে টানা সাতটি টেস্ট জিতে ফাইনালে প্রবেশ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া প্রথম দল হিসেবে এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পরপর দুবার জায়গা করে নিয়েছে।
মহারাজ বলছেন, ''আমি বিশ্বাস করি টেস্ট ক্রিকেটে সত্যিকারের একজন ক্রিকেটারের স্কিল ও চরিত্র ফুটে ওঠে। পাঁচদিন ধরে নিজের সেরাটা দিয়ে যেতে হয় এই ফর্ম্য়াটে। এক মুহূর্তের জন্যও লক্ষ্যচ্যূত হওয়া উচিৎ নয়। যখন তুমি একটি টেস্ট ম্য়াচ বা একটি টেস্ট সিরিজ জেত, এরপর মানসিকভাবে, শারীরিক ক্লান্তি চলে আসে। কারণ ম্য়াচে নিজের সবটুকু দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা থাকে সবার।''
তেম্বা বাভুমার নেতৃত্বে খেলতে নামবে প্রোটিয়া শিবির। এই দক্ষিণ আফ্রিকাই ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে পৌঁছেছিল। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রানার্স আপও হয় তাঁরা। বারবার তীরে এসে তরী ডুবেছে। এবার কি হবে? এর আগে একমাত্র ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। যা তাঁদের এখনও পর্যন্ত একমাত্র আইসিসি ইভেন্ট জয়।
অস্ট্রেলিয়ার একাদশে দুই তিন ফাস্ট বোলার, এক স্পিনারের পাশাপাশি দুই ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার রয়েছেন। ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডারদের একজন হলেন ক্যামেরন গ্রিন। পিঠের অস্ত্রোপ্রচারের পর দলে ফেরা গ্রিন কতটা বোলিং করতে পারবেন, সেটা নিয়ে খানিকটা প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে বটে।




















