Fifa Ranking: ফিফা ক্রমতালিকায় ৯৯ নম্বরে উঠে এলে ভারতীয় ফুটবল দল
Indian Football Team Ranking: ১৯৯৩ সালে ৯৯ নম্বর র্যাঙ্কিংয়ে পৌঁছেছিল ভারতীয় ফুটবল দল। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ৯৬ নম্বরে পৌঁছেছিল তাঁরা।
নয়াদিল্লি: ক্রমতালিকায় আরও এগোল ভারতীয় ফুটবল দল। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ ও সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এই বছর সুনীল ছেত্রীর দল। এবার তারই পুরস্কার পেল ভারতীয় ফুটবল দল। ক্রমতালিকায় প্রথম একশোর ভেতরে ঢুকে পড়ল তাঁরা। এই মুহূর্তে ভারতের স্থান ৯৯ নম্বরে।
১৯৯৬ সালে ভারতের সেরা র্যাঙ্কিং ছিল ৯৪। অর্থাৎ আর মাত্র ৫ ধাপ এগােলেই তা ছুঁয়ে ফেলবে সুনীলের দল। ১৯৯৩ সালে ৯৯ নম্বর র্যাঙ্কিংয়ে পৌঁছেছিল ভারতীয় ফুটবল দল। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ৯৬ নম্বরে পৌঁছেছিল তাঁরা। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্তিনা ক্রমতালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। এছাড়া ফ্রান্স, ব্রাজিল, ইংল্য়ান্ড ও বেলজিয়াম রয়েছে এর পরের চারটি স্থানে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জাপান ২০ নম্বরে রয়েছে। ইরান ২২ নম্বরে, অস্ট্রেলিয়া ২৭ নম্বরে ও কোরিয়া ২৮ নম্বরে ও সৌদি আরব ৫৪ নম্বরে রয়েছে।
সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবল দলের সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘটনায় দেশের ফুটবল মহলে খুশির হাওয়া। গত মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কুয়েতকে হারিয়ে ভারতের নবম সাফ খেতাব জয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে এবং সারা দেশের আনাচে কানাচে চলছে জোর আলোচনা। চলতি বছরে পরপর তিনটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীরা হতাশা কাটিয়ে ফের নড়েচড়ে বসেছেন।
আগামী বছর জানুয়ারিতে ভারত যে এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলবে। তাতে ভাল কিছু দেখার আশায় রয়েছে তারা। ভারতের এই সাম্প্রতিক সফল্যে অবশ্য ফুটবলপ্রেমীদেরও যথেষ্ট অবদান রয়েছে বলেই মনে করেন দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তিনি মনে করেন, ইম্ফল, ভুবনেশ্বর ও বেঙ্গালুরুতে সমর্থকেরা পাশে না থাকলে এই সাফল্য তাঁরা অর্জন করতে পারতেন না।
ইনস্টাগ্রামে এক বার্তায় সুনীল বলেছেন, “বেঙ্গালুরুর ফুটবলপ্রেমীরা সত্যিই খুব স্পেশাল। আমি সাধারণত সবসময়ই এই কথা বলে থাকি। এই ব্যাপারে আমি নিরপেক্ষ হতে পারি না। কিন্তু এ বার প্রীতম (কোটাল), শুভাশিস (বসু), রাহুল ভেকে, অনিরুদ্ধ থাপা, নিখিল পূজারি, আনোয়ার (আলি), আকাশ (মিশ্র) সব্বাই আমার কাছে এসে এই কথাই বলেছে যে, এ বার বেঙ্গালুরুতে এসে ওদের বিশেষ অনুভূতি হয়েছে। আপনারা সত্যিই অসাধারণ”।
ভারত এর আগে আটবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হলেও কুয়েতের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে কখনও চ্যাম্পিয়ন হয়নি। বাড়তি উল্লাস ও আনন্দ বোধহয় সেই কারণেই। এর আগে ২০১০-এ ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ৯-১-এ ভারতকে হারিয়েছিল এই পশ্চিম এশীয় দেশ। তার আগে ১৯৭৮-এর এশিয়ান গেমসে ৬-১-এ জেতে কুয়েত। ৪৬ বছর পর লেবাননকে হারিয়ে ভুবনেশ্বরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জেতেন সুনীলরা। সেই সব দিনের তুলনায় যে দেশের ফুটবল অনেক এগিয়ে গিয়েছে, তা বুঝতে পেরেই আরও বেশি আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের ফুটবল মহলে। ফুটবলাররাও তাই খুশি।