East Bengal: এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ কি মাঠই?
East Bengal FC: সাম্প্রতিক সাফল্যের দিক দিয়ে পারো তাদের প্রতিপক্ষের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে। কারণ, তারা সম্প্রতি তাদের চতুর্থ ভূটান প্রিমিয়ার লিগ খেতাব জিতেছে।
কলকাতা: থিম্পুর উচ্চতা এবং সেখানকার চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামের কৃত্রিম ঘাসের মাঠই এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্ববের অভিযানে ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। শনিবার এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ ২০২৪-২৫-এ গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ভুটানের পারো এফসি’র বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ইস্টবেঙ্গল এফসি। ইস্টবেঙ্গল টানা আটটি ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। যার মধ্যে ছ’টিই চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে।
বরং সাম্প্রতিক সাফল্যের দিক দিয়ে পারো তাদের প্রতিপক্ষের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে। কারণ, তারা সম্প্রতি তাদের চতুর্থ ভূটান প্রিমিয়ার লিগ খেতাব জিতেছে। এই মনোবল কাজে লাগিয়ে অস্কার ব্রুজোনের দলের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে তাদের এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ অভিযান শুরু করতে চাইবে পারো।
চলতি মরশুমে টানা পাঁচ ম্যাচে হারার পর প্রাক্তন কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব ছাড়েন ও দলের ভাগ্য ফেরাতে বসুন্ধরা কিংসের প্রাক্তন কোচ অস্কার ব্রুজোনকে আনা হয়েছে। তবে স্প্যানিশ কোচের যাত্রা শুরু হয়েছে ওডিশা এফসি’র ১-২-এ হার দিয়ে।
ইস্টবেঙ্গল তাদের ছয় বিদেশী ফুটবলারকে নিয়ে ভুটানে পৌঁছে গিয়েছে। শনিবারের ম্যাচ ছাড়াও তাদের ২৯ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর যথাক্রমে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস ও লেবাননের চ্যাম্পিয়ন নেজমেহ এফসসি-র বিরুদ্ধে খেলতে হবে। ২০১৩-য় লাল-হলুদ বাহিনী এএফসি কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। ২০১৫-য় এএফসি কাপে অংশ নেয় তারা। তার পর এই প্রথম কোনও মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের মূল পর্বে খেলছে তারা।
এ বছর অগাস্টে চলতি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ (এসিএল ২) প্লে-অফে ঘরের মাঠে তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব আল্টিন আসিরের কাছে ২-৩-এ হেরে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলছে ইস্টবেঙ্গল। এশিয়ান ক্লাবগুলির জন্য এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিট ও এসিএল ২-এর পর তৃতীয় স্তরের মহাদেশীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা এটি, যা গত মরশুম পর্যন্ত প্রেসিডেন্টস কাপ নামে পরিচিত ছিল।
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ ১৮ দলের টুর্নামেন্ট, যেখানে ১২টি ক্লাব পশ্চিম এশিয়া থেকে এবং ছ’টি পূর্ব এশিয়া থেকে অংশগ্রহণ করছে। পশ্চিম এশিয়ার ১২টি দলকে চারদলীয় তিনটি গ্রুপে (গ্রুপ এ থেকে সি) ভাগ করা হয়েছে এবং পূর্ব এশিয়ার ছ’টি দলকে দু’টি তিনদলীয় গ্রুপে (গ্রুপ ডি থেকে ই) ভাগ করা হয়েছে।
রাউন্ড-রবিন গ্রুপ পর্যায়ের পর আটটি দল কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছবে। গ্রুপ এ থেকে সি-র বিজয়ী এবং পশ্চিম এশিয়ার এই তিন গ্রুপের মধ্যে সেরা রানার্স-আপ দল শেষ আটে প্রবেশ করবে। এছাড়া গ্রুপ ডি এবং ই-র বিজয়ী ও রানার্স-আপও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। তথ্য: আইএসএল