Lionel Messi Statue: 'কার জমিতে মূর্তি? সরকারি জমি না কি ব্যক্তিগত?', এবার লেকটাউনে মেসির মূর্তি নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
HC Question Messi Statue Land: 'কার জমিতে মেসির মূর্তি? সরকারি জমি না কি ব্যক্তিগত? ব্যক্তিগতভাবে সরকারি জায়গায় কিছু করা যায়?', মেসি-কাণ্ডে জানতে চাইলেন বিচারপতি পার্থসারথি সেন।

কলকাতা: যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিওনেল মেসির ইভেন্ট (G.O.A.T India Tour) একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ভাঙা হয় চেয়ার, সেই চেয়ার, জলের বোতল মাঠে ছোড়াও হয়। যুবভারতী কাণ্ডে অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও চলছে। এবার লেকটাউনে মেসির মূর্তি (Lionel Messi Statue), জমি নিয়েও প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট।
সুজিত বসুর উদ্যোগে লেকটাউনে মেসির ৭০ ফিটের মূর্তি বসানো হয়েছিল। সেই মূর্তি নিয়ে অনেকে না না রকম কটাক্ষ করলেও, সুজিত বসু এবিপি আনন্দকে জানিয়েছিলেন, 'স্ট্যাচুটা ওঁর ভাল লেগেছে, পছন্দ হয়েছে। প্রশ্ন কেউ করেনি। দু'-একজন নিন্দুক সবসময়ই এসব করে। মেসি নিজে প্রশংসা করে মূর্তির ছবি এক-দু'নম্বরে রেখেছেন।' এবার এই মূর্তির জায়গা নিয়েই উঠল প্রশ্ন।
হাইকোর্টের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, 'মন্ত্রী হিসেবে নয়, ব্যক্তিগতভাবে মেসির মূর্তি সুজিত বসু বসিয়েছেন। স্বাধীন কমিশন গঠিত হয়েছে, দয়া করে কাজটা করতে দিন'। 'কার জমিতে মেসির মূর্তি? সরকারি জমি না কি ব্যক্তিগত? ব্যক্তিগতভাবে কোনও মন্ত্রী বা যে কেউ সরকারি জায়গায় কিছু করতে পারেন?', মেসির লেকটাউন মূর্তি-কাণ্ডে জানতে চাইলেন বিচারপতি পার্থসারথী সেন।
হাইকোর্টের তরফে এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। মেসি-কাণ্ডে তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি দুই আইনজীবীও মামলা করেন।
মেসির এই অনুষ্ঠান আয়োজনের টাকা কোথা থেকে আসে, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতার আইনজীবী। 'মেসিকে অগ্রিম হিসেবে ৬০ থেকে ৬৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। তখনও টিকিটও বিক্রি হয়নি, তাহলে কে এই অগ্রিম টাকা দিল? কারা এই অনুষ্ঠানের স্পনসর ছিল? সেই কোম্পানিতে কারা কারা যুক্ত? কারা এই কোম্পানির বর্তমান ডিরেক্টর, কারাই বা প্রাক্তন ডিরেক্টর?', মেসির ভারত সফর নিয়ে মামলায় প্রশ্ন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীর।
এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীর তরফে নাম না করে ডায়মন্ড হারবার এবং সেই ক্লাবের কর্তাদের মাঠে উপস্থিতি এবং তাঁদের সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের প্রত্যক্ষ যোগ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। 'একটি চ্যারিটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল, সেই টাকা কোথায় যেত?', ইডি বা SFIO-কে দিয়ে তদন্তের দাবি মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের। সব মিলিয়ে বলা বাহুল্য গোটা ঘটনায় গরমাগরমি অব্যাহত।






















