আসন্ন আন্তর্জাতিক অবকাশকে কাজে লাগাতে চান লাল-হলুদ কোচ। মহেশের পারফরম্যান্সে যে তিনি খুশি নন, তা জানিয়ে অস্কার বলেন, “মহেশ আমাদের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। ওকে আরও ভাল খেলতে হবে। গতবার ওর পারফম্যান্স আরও ভাল ছিল। সামনে যে অবকাশ আসছে, সেই সময়ে ওর সমস্যা দূর করার চেষ্টা করব। দলের আরও যে সব সমস্যা আছে, সেগুলোও মেরামত করতে হবে”।
EBFC vs MSC: নয়জন নিয়ে ড্র, মহামেডানের বিরুদ্ধে পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়া নৈতিক জয়, দাবি ইস্টবেঙ্গল কোচ ব্রুজনের
East Bengal: মহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে ড্র করে মরশুমের প্রথম পয়েন্ট পেল ইস্টবেঙ্গল।
কলকাতা: প্রায় ৭৫ মিনিট (অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে) ধরে নয়জন নিয়ে খেলে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। মহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে দুরন্ত ডিফেন্স করে মরশুমের প্রথম পয়েন্ট ছিনিয়ে নিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal vs Mohammedan Sporting)। দলের প্রথম জয় এখনও অধরা, তবে অস্কার ব্রুজোন (Oscar Bruzon) হতাশার মধ্যেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন।
অস্কার সাংবাদিকদের বলেন, “আজকের ম্যাচে আমাদের কী সমস্যা হয়েছে, তা আমাদের সমর্থকেরা বুঝতে পেরেছে। এটা আমাদের নৈতিক জয়। কারণ, যে অবস্থায় আমরা ছিলাম, তাতে আমরা এই ম্যাচটা হারতে পারতাম। কিন্তু তা হতে দিইনি। টানা চারটি ম্যাচে আমরা হারিনি। আট মাস পরে আমরা এই প্রথম ক্লিন শিট রেখে মাঠ ছাড়তে পারলাম। এই ম্যাচে আমাদের তিন পয়েন্ট পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। সেই লক্ষ্যেই নেমেছিলাম আমরা। কিন্তু পরিস্থিতি যে রকম তৈরি হল, তাতে আমাদের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। এখন আমাদের ইতিবাচক হওয়া প্রয়োজন। আমাদের সমর্থকেরা আজ আমাদের পাশে ছিল। তারা আমাদের ছেলেদের চারিত্রিক দৃঢ়তার পরিচয় পেয়েছে। ভবিষ্যতে এটা আমাদের কাজে লাগবে”।
ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কারও মেনে নিচ্ছেন যে বর্তমানে দল যা পরিস্থিতিতে, তাতে দ্রুতই জয়ে ফিরতে হবে লাল হলুদকে। তিনি বলেন, “আমাদের অনেক ভাল দিক আছে, যেগুলো আমরা কাজে লাগিয়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরতে পারি। আমরা যে আত্মবিশ্বাসটা হারিয়ে ফেলেছিলাম, সেটা ক্রমশ ফিরে আসছে। লিগ টেবলের শেষ জায়গাটা থেকে উঠতে হলে আমাদের কয়েকটা জয় পরপর পেতেই হবে। কারণ, ১২ নম্বরের সঙ্গে আমাদের এখনও চার পয়েন্টের পার্থক্য। তবে আজকের এই এক পয়েন্টই আত্মবিশ্বাস জোগাল। আমাদের দলের ছেলেদের মানসিকতা, চারিত্রিক দৃঢ়তাই বুঝিয়ে দিয়েছে, আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি”।
লাল কার্ড দেখে দুই উইঙ্গার বেরিয়ে যাওয়ার পর দলের যে পরিস্থিতি হয়, তা নিয়ে লাল-হলুদ কোচ বলেন, “বিরতিতে ছেলেদের বলি, মনে করো ওরা ন’জনে খেলছে আর আমরা এগারো জনে খেলছি। কিন্তু আমাদের ৪-৩-১-এ খেলতে হচ্ছিল তখন। নিজেদের গোল রক্ষা করাটাই তখন প্রধান লক্ষ্য ছিল। কী করে গোল করা সম্ভব? তাই দলের সাতজনকে নিয়ে ওদের আটকানোর কাজটা করতে হয়েছে। একজন স্ট্রাইকারকে ওপর দিকে রাখতেই হয়েছিল, যদি কোনও সুযোগ আসে। বিরতিতে যে বার্তাটা আমি ছেলেদের দিয়েছিলাম, সেটা ওরা বুঝতে পেরেছে এবং সেই অনুযায়ীই খেলেছে। আমরা বাঘের মতো নিজেদের গোল রক্ষা করেছি”।
(তথ্য: আইএসএল মিডিয়া)
আরও পড়ুন: ন'জন নিয়ে এক ঘণ্টার অধিক সময় লড়াই, মহামেডানের বিরুদ্ধে ড্রয়ে মরশুম প্রথম পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের