(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
ISL 2024: প্রথমার্ধে খেলল মুম্বই, শেষলগ্নে কামিংসের গোলে ফাইনালে এগিয়ে গেল মোহনবাগান
MBSG vs Mumbai City FC: মোহনবাগান যেমন এ বারের লিগের শুরুতে টানা সাতটি ম্যাচে অপরাজিত থাকার পরে প্রথম হারে, তেমন মুম্বই সিটি এফসি টানা ন’টি ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর দশ নম্বর ম্যাচে এসে হার মানে।
কলকাতা: গোটা প্রথমার্ধে খেলল মুম্বই সিটি। আর শেষবেলায় গোল করে ম্য়াচে এগিয়ে গেল মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট (Mohun Bagan Supergiant)। খেলার ৪৩ মিনিটের মাথায় পেত্রাতসের দূরপাল্লার শট মুম্বই গোলরক্ষক ফূর্বা তেম্পা লাচেনপা ধরতে পারেননি। বল গ্রিপ করতে না পেরে ছেড়ে দেন তিনি। সামনেই ছিলেন কামিংস। তিনি বাঁ পায়ে ছুঁয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। খেলার শুরু থেকেই মুম্বই চাপে রাখল মোহনবাগানকে। কিন্তু গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হল তারা। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষে একটা ঠিকঠাক সুযোগ পেতেই তা কাজে লাগালেন পেত্রাতস-কামিংস জুটি।
প্রথমার্ধ শেষে দেখা যাচ্ছে যে ৬৬ শতাংশ বল দখল ছিল মুম্বই শিবিরের। ৩৪ শতাংশ ছিল মোহনবাগানের দখলে। তবে গোলমুখি শট ৩টি করে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। কিন্তু একটিও ছিল না ছাংতেদের। খেলার ৩৯ মিনিটের মাথায় গোল করার সুবর্ণ সুযোগ চলে এসেছিল মুম্বইয়ের সামনে। ছাংতে বল পেয়ে শট মারেন গোলমুখে। কিন্তু শুভাশিসের পায়ে লেগে সেই বল বারপোস্টে ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। এর একটু পরেই ৪২ মিনিটের মাথায় প্রথম বড় সুযোগ আসে মোহনবাগানের সামনে। অনিরুদ্ধ থাপা বল পেয়ে তা লিস্টন কোলাসোকে সাজিয়ে দেন। সেখান থেকে শট নেন লিস্টন। কিন্তু সেই যাত্রায় বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন মুম্বই গোলরক্ষক। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষে গোল হজম করতেই হল তাঁকে।
আইএসএলের খেতাবি লড়াইয়ে আজ যুবভারতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট ও মুম্বই সিটি এফসি। আগের ম্য়াচের একাদশই ধরে রেখেছে বাগান শিবির। গ্লেন মার্টিন্সকে একাদশের বাইরেই রাখা হয়েছে। অর্থাৎ ফরোয়ার্ড লাইনে খেলছেন কামিংস, লিস্টন, পেত্রাতস ও মনবীর। অন্যদিকে মুম্বই শিবির একটি মাত্র পরিবর্তন করেছেন। মিডফিল্ডার অ্যালবার্তো নগুয়েরাকে খেলানো হয়েছে প্রথম একাদশে।
মোহনবাগান যেমন এ বারের লিগের শুরুতে টানা সাতটি ম্যাচে অপরাজিত থাকার পরে প্রথম হারে, তেমন মুম্বই সিটি এফসি টানা ন’টি ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর দশ নম্বর ম্যাচে এসে হার মানে। পরপর তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে হারের পর ফের তাদের অপরাজিত থাকার দৌড় শুরু হয়। এ বার টানা ন’টি ম্যাচে। সেই দৌড় থামিয়েছিল এই মোহনবাগানই। সারা লিগে মাত্র তিনটি হারের শাস্তি তাদের পেতে হয় লিগশিল্ড হাতছাড়া করে। অথচ তাদের চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি হারা সত্ত্বেও মোহনবাগান এক নম্বরে থেকে যায়!