UCL Final: ইন্টার মিলানকে নাস্তানবুদ করে ঐতিহাসিক জয়, প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব এল পিএসজির ঘরে
UCL 2024-25: পেপ গুয়ার্দিওলার পর মাত্র দ্বিতীয় কোচ হিসাবে দুই ক্লাবের সঙ্গে ট্রেবল জিতলেন আরেক স্প্যানিয়ার্ড লুইস এনরিকে।

মিউনিখ: ইউরোপ সেরা হওয়ার লড়াই। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লিগ (UCL Final) ফাইনালের মঞ্চ। দুই শক্তিধর দল। আশা ছিল মিউনিখের আলিয়াঞ্জ এরিনায় এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তবে আর যাই হোক সেটা দেখা গেল না। বিধ্বংসী প্যারিস সঁ-জরমেঁর (Paris Saint-Germain) বিরুদ্ধে কার্যত অসহায় আত্মসমর্পণ করল সিমোনে ইনজাঘির ইন্টার মিলান (Inter Milan)। ঐতিহাসিক রাতে লুইস এনরিকের তত্ত্বাবধানে প্রথমবার ইউরোপ সেরা হল ফ্রান্সের রাজধানীর ক্লাব। ম্যাচের ফলাফল পিএসজির পক্ষে ৫-০।
ঐতিহাসিকভাবে ইতালিয়ান জাতীয় দল থেকে ইতালির ক্লাবগুলি নিজেদের জমাট রক্ষণের জন্য বিখ্যাত। তবে সেমিফাইনালে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে জিতলেও ইন্টার মিলান দুই লেগ মিলিয়ে মোট গোল হজম করেছিল। এদিন খেতাবি লড়াইয়ে আচের্বিদের ডিফেন্স একেবারে ছন্নছাড়া দেখায়। ম্যাচে পিএসজির হয়ে গোল করার শুরুটা করেন এক প্রাক্তন ইন্টার ফুটবলার আশরফ হাকিমিই। এরপর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে দলের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডেজ়ারি ডুয়ে। তরুণ ফরাসি ফরোয়ার্ডের শট ইন্টার খেলোয়াড়ের গায়ে গোলে সোমারকে পরাস্ত করে।
দুই গোলের লিড নিয়ে মানসিকভাবে বেশ খানিকটা এগিয়েই দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেছিল পিএসজি। তবে ইন্টার সমর্থকরা আশা করেছিলেন নিকোলাস বারেলা, মার্কাস থুরাম, লাউতারো মার্তিনেজরা দলের হয়ে দুরন্ত এক প্রত্যাবর্তন ঘটাবেন। কিন্তু কোথায় কী! একদিকে যেখানে জাও নেভেসদের মিডফিল্ড ম্যাচের গতি নিয়ন্ত্রণ করে, সেখানে কারভিচা কাভারাৎস্কেলিয়ারা হেসেখেলে ইন্টার রক্ষণে চিড় ধরাতে সক্ষম হন। দ্বিতীয়ার্ধে দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করে পিএসজি ম্যাচে অনেকটাই এগিয়ে দেন ডুয়ে। এরপর কাভারাৎস্কেলিয়া ম্যাচ ইন্টারের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গিয়ে চতুর্থবার ইতালিয়ান ক্লাবের জালে বল জড়ান। ম্যাচ শেষের আগে তরুণ মায়ুলু পিএসজির হয়ে পঞ্চম গোলটি করে ইন্টার মিলানের কফিনে শেষ পেরেকটি পোতেন।
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের ফাইনালের ইতিহাসে সবথেকে বড় ব্যবধানে জিতে খেতাব ঘরে তোলে পিএসজি। ম্য়াচে কোনও সময়ই দেখে মনে হয়নি যে ইন্টার প্রত্যাবর্তন ঘটাতে পারে। বরং পিএসজি আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত। তবে শেষমেশ ৫-০ স্কোরলাইনেই খেলা থামে। দুই গোল এবং একটি অ্যাসিস্টের জন্য ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন টিনএজার ডুয়ে।
এর আগে মার্সে ১৯৯৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল, তারপর মাত্র দ্বিতীয় ফরাসি দল হিসাবে পিএসজি ইউরোপ সেরা হল। মেসি, এমবাপে, নেমাররা, সার্জিও রামোসদের তারকাখচিত দল, কাভানি, ইব্রাহিমোভিচদের দুরন্ত পিএসজি দল যা করে দেখাতে পারেনি, লুইস এনরিকের কোচিংয়ে ঠিক সেটাই করে দেখাল একদল তরুণ, প্রতিভাবানদের নিয়ে তৈরি পিএসজি। পেপ গুয়ার্দিওলার পর মাত্র দ্বিতীয় কোচ হিসাবে দুই ক্লাবের সঙ্গে ট্রেবল জিতলেন আরেক স্প্যানিয়ার্ড, তাঁরই প্রাক্তন সতীর্থ লুইস এনরিকে।























