Blind Cricket WC Winner: "সরকারের কাছে অনুরোধ, একটা চাকরি দিন", আর্তি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য নরেশের
২০১৮-র বিশেষভাবে সক্ষমদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য। এখন সব্জি বিক্রি করে ও শ্রমিকের কাজ করে জীবন নির্বাহ করতে হচ্ছে তাঁকে।
![Blind Cricket WC Winner: Gujarat Navsari of 2018 Blind Cricket World Cup winning team member works as labourer due to Covid lockdown Blind Cricket WC Winner:](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/08/09/166ce7ed7fac53e1685e82f4cac1db49_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নভসারি (গুজরাত) : করোনা সংক্রমণের দাপট অব্যাহত। অতিমারিতে গত দেড় বছরে বহু মানুষের কাজ চলে গেছে। অনেকের আয় কমেছে। কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষকে পেশা বদলাতে হয়েছে। কোভিড লকডাউনের জেরে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন নরেশ তুমদাও। কী তাঁর পরিচয় ? ইনি হলেন ২০১৮-র বিশেষভাবে সক্ষমদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য। এখন সব্জি বিক্রি করে ও শ্রমিকের কাজ করে জীবন নির্বাহ করতে হচ্ছে তাঁকে।
নরেশ তুমদা। গুজরাতের নভসারি থেকে উঠে আসা বিশেষভাবে সক্ষম ক্রিকেটার। ২০১৮-র বিশ্বকাপ জয়ী একাদশের সদস্য ছিলেন। দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ ছিল। নরেশ বলেন, মজুরের কাজ করে দিনে ২৫০ টাকা করে রোজগার করি। চাকরির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু, কোনও উত্তর পাইনি। সরকারের কাছে অনুরোধ, আমাকে একটা চাকরি দিন যাতে পরিবারের যত্ন নিতে পারি।
তিনি আরও বলেন, যখন আমরা বিশ্বকাপ জিতে দিল্লি ফিরে আসি, সকলেই প্রশংসা করেছিলেন। আমরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। সাক্ষাৎ হয়েছিল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে। আমরা যখন বিশ্বকাপ জিতি, খুব খুশি হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, এবার একটা চাকরি পাব। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তা পাইনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, জীবন-ধারণের জন্য আমায় একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিন।
উল্লেখ্য, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত পাকিস্তানকে ফাইনালে দুই উইকেটে হারিয়েছিল সেবার। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর শারজা স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছিল। তীব্র প্রতিযোগিতার সেই ম্যাচে এক ওভার বাকি থাকতে জিতে যায় ভারত। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ৪০ ওভারে ৩০৭ রান তুলেছিল।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক বেসরকারি ক্ষেত্র বন্ধ হয়ে গেছে। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। শুধু তাই নয়, অনেকের আয়ও কমে গেছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে এখনও কিছু কিছু জায়গায় বিধি-নিষেধ রয়েছে। ফলে, তার প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন সেক্টরে। ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আর্থিক ব্যবস্থা। রোজগার হারিয়ে অনেকেই আজ অসহায়!
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)