IPL 2023: সূর্যকুমারের সঙ্গে টস করতে এলেন হরমনপ্রীত কৌরও, কিন্তু কেন?
MI vs KKR: উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে হরমনপ্রীতরা যে জার্সি পরে মাঠে নামেন, সেই জার্সি পরেই খেলতে নেমেছেন আজ সূর্যকুমার, ঈশান কিষাণরা।
মুম্বই: আইপিএলের অন্যতম ঐতিহাসিক মুহূর্ত। রবিবারের প্রথম খেলায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম কেকেআরের ম্যাচ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। রোহিত শর্মার বদলে সেই ম্যাচে টস করতে নামলেন সূর্যকুমার যাদব। তবে শুধু তিনিই নন। মুম্বইয়ের জার্সিতে টস করতে এলেন উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ও নীতা আম্বানির উদ্যোগে এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস ফর অল দিবস উদযাপনের জন্য আজ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তার জন্য প্রায় ১৯ হাজার কিশোরীকে বিনামূল্য টিকিট দেওয়া হয়েছে এই ম্যাচ দেখার জন্য।
শুধু তাইই নয়। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে হরমনপ্রীতরা যে জার্সি পরে মাঠে নামেন, সেই জার্সি পরেই খেলতে নেমেছেন আজ সূর্যকুমার, ঈশান কিষাণরা। মাঠে উপস্থিত রয়েছেন উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সদস্যারাও। ইয়ান বিশপ বলেন, ''টাটা আইপিএল ২০২৩-এ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচের জন্য মাঠে ১৯,০০০ কিশোরী উপস্থিত আছে। আর অবশ্যই হরমনপ্রীত কৌর সেটাকে বাড়িয়ে ১৯,০০১ করেছে।''
নীতা আম্বানি বলেন, ''আজকের ম্যাচটি মহিলাদের ক্রীড়াক্ষেত্রে এগিয়ে আসার জন্য। আমি মনে করি একটি মেয়ের শিক্ষা ও খেলাধূলোয় এগিয়ে আসার দরকার। এখানে যারা এসেছে ও টিভির ওপারে যারা দেখছে, তারা প্রত্যেকে তাদের স্বপ্নের পথে এগিয়ে আসুক, এটাই চাইব। কে না জানে যে আজ এই স্ট্যান্ডেই হয়ত ভবিষ্যতের ঝুলন, হরমনপ্রীতরা রয়েছে। শুধু ক্রিকেটার হিসেবেই নয়, যে কোনও খেলাতেই যারা বিশ্বমঞ্চে ভারতের নাম উজ্জ্বল করতে পারবে।''
View this post on Instagram
এদিন প্রথমে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পল্টনদের স্ট্যান্ড ইন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। রোহিতের পেটের সমস্যা থাকায় এদিন সূর্যই মুম্বইকে নেতৃত্ব দেন। শুরুটা নাইটরা ভাল করতে পারেনি। শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন এন জগদীশন। তবে তিন নম্বরে ব্যাটে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছন্দে ছিলেন বেঙ্কটেশ। তাঁকে সঙ্গ দেন রহমনল্লাহ গুরবাজ। ৪৬ রান যোগ করেন দুইজনে। তবে পাওয়ার প্লে শেষের আগেই ৮ রানে ফেরেন গুরবাজ। গত ম্যাচে দুরন্ত অর্ধশতরান করা নীতীশ রানাও ৫ রানে বেশি করতে পারেননি।
গত ম্যাচে মাত্র পাঁচ বলই করেছিলেন শার্দুল ঠাকুর, ব্যাটও পরের দিকেই নেমেছিলেন তিনি। তবে এদিন তাঁকে পাঁচে ব্যাট করতে নামানো হয়। এই পরীক্ষা অবশ্য তেমন সফল হয়নি। মাত্র ১৩ রান করেন তিনি। রিঙ্কু করেন ১৮ রান। তবে একদিকে যেখানে বাকি ব্যাটাররা দ্রুত গতিতে রান করতে চাপে পড়ছিলেন, সেখানে বেঙ্কটেশ কিন্তু নিজের খেলা চালিয়েই যান। দেখতে দেখতেই ৪৯ বলে শতরান হাঁকিয়ে ফেলেন তিনি। অবশ্য শতরান করার পরেই স্কুপ মারতে গিয়ে ১০৪ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।