নায়ক কার্তিক, রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে নিদাহাস ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজ জিতল ভারত
![নায়ক কার্তিক, রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে নিদাহাস ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজ জিতল ভারত Hero of the final Kartik, India beat Bangladesh by four wickets to win Nidahas T20 Tri-Series নায়ক কার্তিক, রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে নিদাহাস ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজ জিতল ভারত](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2018/03/18130856/karthik.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলম্বো: রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে নিদাহাস ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজ জিতল ভারত। রবিবার, কলম্বোয় বাংলাদেশকে একেবারে শেষ বলে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন দীনেশ কার্তিক।
বাংলাদেশের রাখা টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করে মেন ইন ব্লু। দুই ওপেনার অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শিখর ধবন ওভারে ১০ ওপর রান করতে থাকেন। তবে বেশিক্ষণ টেকেননি ধবন। ১০ রানেই আউট হয়ে যান। তিনে নেমে বড় ম্যাচে ব্যর্থ হন সুরেশ রায়না (০)।
এরপর লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস গোছাতে শুরু করেন রোহিত। তৃতীয় উইকেটে ৫০ রানের পার্টনারশিপ হয়। সব যখন ঠিক চলছিল, সেই সময় ঘটে ছন্দপতন। আউট হন রাহুল (১৪ বলে ২৪)। দলের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৮৩।
রাহুল আউট হতে নামেন মণীশ পাণ্ডে। এদিন নিজস্ব ছন্দে ছিলেন না মণীশ। অনেক বল নষ্ট করেন। ব্যাটে-বলে করতে পারছিলেন না। এর মধ্যেই কেরিয়ারের ১৪তম টি-২০ অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন রোহিত। তবে, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যক্তিগত ৫৬ রান করে আউট হন।
রোহিত আউট হতে নামেন বিজয় শঙ্কর। এই সময় বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরে আসে। ভারতের ওপর ক্রমাগত চাপ তৈরি হয়। বাড়তে থাকে আস্কিং রেট। মণীষ পাণ্ডে (২৭ বলে ২৮) যখন আউট হন তখন ভারতের স্কোর ১৮ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৩৩। অর্থাৎ, ২ ওভারে করতে হতো ৩৪ রান।
এই সময় নামেন দীনেশ কার্তিক। তখন অনেকেই প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু, কার্তিকের মনে অন্য কিছু ছিল। রুবেলের ওভারে ৬ বলে করেন ২২ রান। এর মধ্যে ২ টি চার ও ২টি ছক্কা রয়েছে।
শেষ ওভারে তখন জিততে ভারতকে করতে হবে ১২ রান। প্রথম তিন বলে আসে তিন রান। চাপ বাড়তে থাকে দীনেশের ওপর। চতুর্থ বল বাউন্ডারিতে পাঠান শঙ্কর। এখনও ২ বলে করতে হতো ৫ রান। এই পরিস্থিতিতে ফের ধাক্কা খায় ভারত। আউট হন শঙ্কর। তবে, ব্যাটসম্যান দিক পরিবর্তন করায় শেষ বল ফেস করেন কার্তিক। এক বলে পাঁচ রান। অর্থাৎ, একমাত্র ছয় ছাড়া জয় সম্ভব ছিল না।
আর সেটাই করে দেখালেন কার্তিক। একেবারে কভারের ওপর দিয়ে ছক্কা। ৮ বলে অপরাজিত ২৯ রান। ২টি চার ও ৩টি ছয়। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন তিনিই।
ভারতের সামনে ১৬৬ রানের টার্গেট রাখল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে ভাল রান করেন শাব্বির রহমান। ৫৫ বলে ৭০ রান করেন তিনি। তবে, শাব্বির বাদে বাংলাদেশের আর কোনও ব্যাটসম্যান তেমন সুবিধা করতে পারেননি। শুরুটা ভাল করেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন মাহমুদুল্লাহ (১৬ বলে ২১)। শেষ ওভারে কিছুটা চালিয়ে খেলার চেষ্টা করেন মেহদি হাসান (৭ বলে অপরাজিত ১৯)। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান করে বাংলাদেশ।
ভারতের দিকে সবচেয়ে সফল বোলার যযুবেন্দ্র চহাল। ১৮ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। দুটি উইকেট (৩৩ রানের বিনিময়ে) নেন জয়দেব উনাদকত। একটি উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই ম্যাচে ভারতীয় দলে একটি বদল হয়েছে। মহম্মদ সিরাজের বদলে দলে এসেছেন জয়দেব উনাদকাট। বাংলাদেশ দলে কোনও বদল হয়নি।
![নায়ক কার্তিক, রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে নিদাহাস ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজ জিতল ভারত](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2018/03/18130856/DYkqQjoVwAAB8rL-300x169.jpg)
ভারতীয় দল- রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধবন, সুরেশ রায়না, দীনেশ কার্তিক, লোকেশ রাহুল, মণীশ পাণ্ডে, বিজয় শঙ্কর, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দুল ঠাকুর, জয়দেব উনাদকাট ও যুজবেন্দ্র চাহল।
বাংলাদেশ দল- তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, মাহমুদুল্লাহ, শাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মেহদি হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন ও নাজমুল ইসলাম।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)