(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Piyali Basak: সব বাধা পার, মাকালু জয় পিয়ালি বসাকের
Mountaineer Piyali Basak: অসুস্থ বাবার জন্য মাকালু অভিযান না করেই চন্দননগরে ফিরে এসেছিলেন তিনি। সেই মাকালু শৃঙ্গ এবার জয় করলেন পিয়ালি বসাক।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: অসুস্থ বাবার জন্য মাকালু অভিযান না করেই চন্দননগরে ফিরে এসেছিলেন তিনি। তবে ইচ্ছাশক্তিই যে শেষ কথা, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন। মাকালু শৃঙ্গ জয় করলেন পিয়ালি বসাক (Piayali Basak)।
নেপালের এজেন্সি পাইওনিয়ার অ্যাডভেঞ্চার জানিয়েছে, আজ সকাল সাতটা থেকে আটটা নাগাদ, মাউন্ট মাকালু যা বিশ্বের পঞ্চম উচ্চতম শৃঙ্গ, সেটি জয় করেন পিয়ালি বসাক। এভারেস্ট ও লোৎসে জয়ের পর আরও দুটি হাট হাজারি শৃঙ্গ জয় করলেন চন্দনগরের পাহাড় কন্যা। উল্লেখ্য, গত ৯ মার্চ অন্নপূর্ণা ও মাকালু পর্বত শৃঙ্গ জয় করার লক্ষ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন পর্বত আরোহী পিয়ালি।
১৭ এপ্রিল সোমবার সকালে পৃথিবীর দশম উচ্চতম (৮০৯১ মিটার) অন্নপূর্ণা পর্বত শৃঙ্গ জয় করেন। ২০১৮ সালে পৃথিবীর অষ্টম উচ্চতম শৃঙ্গ মানাসুলু জয় করেছিলেন পিয়ালি। তারপর ২০২১ সালে সপ্তম উচ্চতম শৃঙ্গ ধৌলাগিরি জয়। ২০২২ সালে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখর এভারেস্টে ওঠেন পিয়ালি। তার দুদিন পরেই পৃথিবীর চতুর্থ উচ্চতম শৃঙ্গ লোৎসে জয় করেন তিনি।
এবার লক্ষ ছিল অন্নপূর্ণা আর মাকালু এক সঙ্গে জয়। কিন্তু বাবা তপন বসাকের অসুস্থতার খবরে গত ২৪ এপ্রিল বাড়ি ফিরে আসেন পিয়ালি। ২৭ এপ্রিল মাকালু অভিযানে বের হন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মাকালু বেস ক্যাম্পের উদ্দেশ্য রওনা দেন। আজ সকালে সামিট করেন। এনিয়ে ছটি আট হাজারি পর্বত শৃঙ্গ জয় করলেন পিয়ালি।
সম্প্রতি আরও একটি সাফল্যের খবর প্রকাশ্যে আসে। মূলত এভারেস্টের শিখর ( Everest base camp ) ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। চড়াই উতরাইয়ের মাঝে কখনও বাধা পড়ে যায় সেই স্বপ্নের উড়ান। তবে সম্প্রতি সেই যাবতীয় কঠিন পরিস্থিতিকে হার মানালেন এক ক্ষুদে। আজ্ঞে হ্যাঁ, মাত্র ৬ বছর বয়সে এভারেস্টের বেসক্যাম্প অর্থাৎ ১৭ হাজার ৫০০ উচ্চতা ছুঁলেন ভারতের এই কনিষ্ঠতম বালিকা (Youngest Indian on Everest)।
আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?
পুনের এই নাবালিকার নাম আরিষ্কা লাদ্ধা। পুনের কোথরুদ এলাকার বাসিন্দা আরিষ্কা লাদ্ধা, তার মা ডিম্পল লাদ্ধার সঙ্গে ১৫ দিনের অভিযানে ১৩০ কিমি পথ হেঁটে মাউন্ট এভারেস্টের বেসক্যাম্পে পৌঁছেছে। এই যাত্রাপথে কম বাধার মুখে পড়তে হয়নি ওই ক্ষুদেরকে। কিন্তু যাবতীয় বাধাকে পিছনে ফেলে ক্রমশ এগিয়ে যায় বছর ৬ এর পুনের ওই নাবালিকা। টানা ১৫ দিন হাঁটার পর অবশেষে এভারেস্টের শিখর ছুঁয়ে ফেলে পুনের ওই নাবালিকা।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?