Subrata Paul Retire: এশীয় ফুটবলে 'স্পাইডারম্যান' নামে পরিচিত ছিলেন, বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন সুব্রত পাল
Subrata Paul : কলকাতার ২ প্রধানেই খেলেছেন। মোহনবাগানে পথ চলা শুরু হলেও ধীরে ধীরে দেশের সব ক্লাবেই খেলেছেন। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতেও দেখা গিয়েছে।
কলকাতা: তিনি বাঙালি ফুটবলার। অথচ গোটা দেশের ফুটবল মহলে স্পাইডারম্যান নামেই পরিচিত ছিলেন। তেকাঠির নীচে ডানদিক, বাঁদিক ঝাঁপিয়ে দুরন্ত সব সেভ। কলকাতা ময়দানে মিষ্ঠু নামে পরিচিত ছিলেন সোদপুরের ছেলে। একসময় বাইচুংয়ের ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। এবার ফুটবলকে বিদায় জানালেন সুব্রত পাল। বলা যেতে পারে একেবারে নিঃশব্দেই। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখা হয়েছে, ''ধন্যবাদ স্পাইডারম্যান! ব্লু টাইগার্সের সুব্রত পাল আজ তাঁর গ্লাভস জোড়া তুলে রাখলেন।''
View this post on Instagram
কলকাতার ২ প্রধানেই খেলেছেন। মোহনবাগানে পথ চলা শুরু হলেও ধীরে ধীরে দেশের সব ক্লাবেই খেলেছেন। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতেও দেখা গিয়েছে। দেশের জার্সিতে ৬৭টি ম্য়াচ খেলেছিলেন। এছাড়া ৪ ম্য়াচে নেতৃত্বভারও সামলেছেন। ১৯টি ক্লিনশিট রয়েছে ঝুলিতে। বয়স বাড়ার জন্য আইএসএলে এসে সেভাবে সাফল্য না পেলেও রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন ক্লাবের জার্সিতে সুব্রতর সাফল্য ছিল নজরকাড়া।
নিজের বর্ণময় ফুটবল কেরিয়ারে অবশ্য একটি খারাপ ঘটনার সঙ্গে জড়িয়েছে সুব্রত পালের নাম। ব্রাজিলীয় ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়রের মৃত্যুর ঘটনা। ২০০৫ সালে গোয়ার মারগাঁওতে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মোহনবাগানের গোল রক্ষা করছিলেন সুব্রত। সেইসময় ডেম্পোর জুনিয়র বাগান বক্সে আঘাত হানলে সুব্রতর সঙ্গে সংঘর্ষে জুনিয়র মাঠেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন।
২০০০ সালে টাটা অ্যাকাডেমির ব্যাচ থেকে শুরু। সেখান থেকেই চারবছর পর বাগান শিবিরে যোগ। অমল দত্তকে প্রথমবারই মোহনবাগানে কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন সুব্রত পাল। অনূর্ধ্ব ২৩ থেকে শুরু করে সিনিয়র দলেও তিনি ছাপ রেখেছিলেন। ২০০৭ সালে নেহরু কাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। পাশাপাশি ২০০৮ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ খেলেছিলেন। ২০০৯ সালের নেহরু কাপ ছাড়াও ২০১১ সালের এএফসি এশিয়ান কাপ, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ যোগ্যতাপর্ব, এমনকী ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের যোগ্যতাপর্বের ম্যাচেও ভারতীয় দলের গোলরক্ষক ছিলেন বাংলার নামী তারকা।
View this post on Instagram