IPL 2023: দলে প্রতিভার কমতি নেই, তা সত্ত্বেও লিগে রাজস্থানের অবস্থানে হতাশ অধিনায়ক স্যামসন
Rajasthan Royals: লিগ তালিকায় আপাতত পাঁচ নম্বরে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। তাঁদের প্লে-অফ ভাগ্য আরসিবির ওপর নির্ভরশী
ধর্মশালা: প্রয়োজন ছিল ১৮.৩ ওভারে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতলেও রাজস্থান রয়্য়ালস (PBKS vs RR) ১৮.৩ ওভারে ১৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ম্য়াচ জিততে পারল না। ফলত পাঞ্জাবকে হারালেও এখনও ঝুলে রাজস্থানের ভাগ্য। একমাত্র আরসিবি যদি গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়, তবেই সঞ্জু স্যামসনের (Sanju Samson) দল চলতি আইপিএলের (IPL 2023) প্লে-অফে পৌঁছতে পারবে। তবে টর্নামেন্টের শরুটা কিন্তু রাজস্থান দারুণভাবেই করেছিল।
হঠাৎ ছন্দপতন
টুর্নামেন্টের শুরুতে প্রথম ছয় ম্যাচের মধ্যে চারটি জিতেছিল সঞ্জুর নেতৃত্বাধীন দল। তবে তারপরেই ছন্দপতন। পরপর ম্যাচ হারে রাজস্থান। শেষ ম্যাচে হাডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ম্যাচ জিতলেও, তাই তাঁদের প্লে-অফে যাওয়া নিশ্চিত নয়। দলের এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত হতাশ অধিনায়ক স্যামসন। তিনি বলেন, 'ম্যাচের শেষের দিকে হেটি (হেটমায়ার) যেভাবে ব্যাট করছিল, তাতে আমার মনে হয়েছিল যে আমরা হয়তো ১৮.৫ ওভারের মধ্যে ম্যাচ জিতে যাব। আমাদের দল যথেষ্ট শক্তিশালী এবং লিগ তালিকায় আমরা যেখানে রয়েছি, সেটা সত্যি বলতে আমার কাছে খানিকটা বিস্ময়েরই।'
তবে রাজস্থান প্লে-অফে পৌঁছোক বা না পৌঁছোক। এ মরসুমটা কিন্তু যশস্বী জয়সওয়ালের (Yashasvi Jaiswal) জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্বের ১৪ ম্যাচে ৪৮.০৮-র গড় ও ১৬৩.৬১-র স্ট্রাইক রেটে মোট ৬২৫ রান করেছেন ২১ বছর বয়সি তরুণ ব্যাটার। এদিনও পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন যশস্বী। আইপিএলের সর্বকালীন ইতিহাসে কোনও 'আনক্যাপড' খেলোয়াড়ের এটি একটি মরসুমে সর্বোচ্চ রান।
আইপিএল ইতিহাসে তিনি 'আনক্যাপড' ব্যাটার হিসাবে সর্বোচ্চ রান করে ফেললেন। এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন শন মার্শ। অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ঘটানোর আগেই মার্শ আইপিএলের ২০০৮ মরসুমে ১১ ম্যাচে ৬১৬ রান করেছিলেন। তাঁর গড় ছিল ৬৮.৪৪। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক স্যামসন কিন্তু যশস্বীর প্রশংসায় কোনও খামতি রাখলেন না।
যশস্বীর প্রশংসা
তরুণ ওপেনারের প্রশংসা করে স্যামসন বলেন, 'আমি তো প্রতিটি ম্যাচের পরই জয়সওয়ালের প্রশংসা করেছি। ও দারুণ পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছে। দেখে মনে হচ্ছ ইতিমধ্যেই ও ১০০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছে। আর বোল্টের কথাও না বললেই নয়। ৯০ শতাংশ ম্যাচেই আমাদের মনে হয় যে ও প্রথম ওভারেই আমাদের সাফল্য এনে দেবে। সত্যি বলতে আমরা কিন্তু শেষ কয়েকটা ম্যাচ ধরেই বেশ চাপে ছিলাম।'
আরও পড়ুন: সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?