Pat Cummins on Coronavirus: ভারতে করোনা মোকাবিলায় প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা দিলেন কেকেআরের পেসার
কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার যা পারেননি, তাই করে দেখালেন ভারতে আইপিএল খেলতে আসা অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার প্যাট কামিন্স।
আমদাবাদ: কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার যা পারেননি, তাই করে দেখালেন ভারতে আইপিএল খেলতে আসা অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার প্যাট কামিন্স।
কলকাতায় খেলতে এসে ভারতের হৃদয় জিতে নিলেন অস্ট্রেলীয় স্পিডস্টার। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল ভারত। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ত্রাণ তহবিলে (পিএম কেয়ার্স ফান্ড) ৫০ হাজার মার্কিন ডলার দান করলেন তিনি। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে কামিন্স জানিয়ে দিলেন, ভারতের অতিমারি পরিস্থিতিতে যেভাবে অক্সিজেন পরিষেবায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে, সেটা স্বাভাবিক করার জন্যই তাঁর এই উদ্যোগ। পাশাপাশি এই কঠিন সময়ে আইপিএল চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, আইপিএল এই দুঃসময়ে কয়েক ঘন্টার বিনোদন। তাতে মানুষের কিছুটা হলেও উদ্বেগমুক্তি হয়।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে পুরোপুরি বিধ্বস্ত ভারত। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে সাড়ে তিন লক্ষের গণ্ডি। এই অবস্থায় ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। অনেকে আবার ব্যক্তিগতভাবেও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। সেই তালিকাতেই নাম লেখালেন অজি ক্রিকেটার তথা কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা প্যাট কামিন্স। আইপিএল খেলতে ভারতেই রয়েছেন তিনি। চেন্নাই, মুম্বইয়ের পর এবার আমদাবাদে পৌঁছে গিয়েছেন নাইটরা। সোমবার সেখানেই পঞ্জাব কিংসের সঙ্গে ম্যাচ তাঁদের। জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকলেও কোভিড আতঙ্কে ভুগছেন আইপিএলের ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্যান্য সদস্যরাও। কার্যত প্রত্যেকেই করোনার ভয়াবহতা খুব কাছ থেকেই উপলব্ধি করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে আরও অনেকের মতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার।
সোমবার নিজেই ট্যুইট করে সাহায্যের খবরটি জানানোর পাশাপাশি কামিন্স বাকিদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি আইপিএল বন্ধ না করার পরামর্শও দেন তিনি। কামিন্স লিখেছেন, 'অনেকই প্রশ্ন তুলছেন, দেশে যখন করোনার সংক্রমণ এত বেশি পরিমাণে বাড়ছে, তখন আইপিএল আয়োজন কতটা যুক্তিযুক্ত? এই বিষয়ে ভারত সরকারকে আমার পরামর্শ, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেককেই গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে। তাই আইপিএলের এই কয়েক ঘণ্টার ম্যাচ তাঁদের কিছুটা হলেও মন ভাল করে দেবে।'
মানবিক জাডেজা, করোনা আক্রান্তদের বেড, অক্সিজেনের ব্যবস্থা, রেস্তোরাঁ কর্মীদেরও সাহায্য