IPL 2024: কীভাবে ফাঁদে ফেলেছিলেন হেড-অভিষেকদের? কেকেআরকে ফাইনালে তুলেই ফাঁস স্টার্কের
Mitchell Starc: স্টার্কের পারফরম্য়ান্স দেখার পরই অনেকেই মুখ লুকনো শুরু করেছেন। গতকাল নিজের প্রথম স্পেলেই তিন উইকেট তুলে নেন অজি পেসার।
আমদাবাদ: ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা মূল্যে তাঁকে নিলামের টেবিল থেকে দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবির (kolkata Knight Riders)। কিন্তু টুর্নামেন্টের শুরু থেকে একেবারেই নিজের ফর্মের ধারেকাছে ছিলেন না। প্রতি ম্য়াচেই প্রায় দুশোর ওপর রান হজম করতে হচ্ছল। এমনকী উইকেটও পাননি দুটো ম্য়াচে। সমালোচনার তীর ছুড়তে শুরু করেন নিন্দুকেরা। কিন্তু গ্রুপ পর্বে মুম্বই ম্য়াচের পর প্লে অফে গতকাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে স্টার্কের পারফরম্য়ান্স দেখার পরই অনেকেই মুখ লুকনো শুরু করেছেন। গতকাল নিজের প্রথম স্পেলেই তিন উইকেট তুলে নেন অজি পেসার। প্রথম ওভারেই নিঁখুত ইয়র্কারে ফেরান বিপজ্জ্বনক ট্রাভিস হেডকে। এরপর ফর্মে থাকা নীতিশ রেড্ডি ও শাহবাজ আহমেদকেও প্য়াভিলিয়নের রাস্তা দেখান স্টার্ক। ম্য়াচের সেরার পুরস্কারও জেতেন স্টার্ক।
গোটা টুর্নামেন্টে হায়দরাবাদের যেই ওপেনিং জুটি বারবার সমস্যায় ফেলেছিল সব দলকে, তাঁদের বিরুদ্ধে কীভাবে সফল হলেন? ম্য়াচের পর স্টার্ক বলছেন, ''আমরা জানতাম যে পাওয়ার প্লে কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। কেকেআর ও হায়দরাবাদ দুটো দলই পাওয়ার প্লে-তে সব ম্য়াচেই প্রচুর রান করেছে। তাই আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল যে দ্রুত টপ অর্ডারকে আউট করা। মিডল অর্ডারকে এরপর নিশানা করা। যেভাবে হেড ও অভিষেক গোটা মরশুমে খেলেছে, তাতে ওরা হাত খোলার জায়গা পেলেই বল গ্যালারিতে পাঠিয়েছে। তাই ওঁদের কোনওভাবেই অফস্ট্যাম্পের বাইরে বল যাতে না করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেছিলাম আমরা। হার্ড লেংথে বল করেছিলাম। স্টাম্প টু স্টাম্প বল করে স্যুইং করানোর চেষ্টা করেছিলাম আমরা। স্পিনাররা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। এছাড়া গোটা বোলিং ডিপার্টমেন্টই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে।''
হর্ষিত রানা ও বৈভব আরোরার প্রশংসা শোনা গেল স্টার্কের গলায়। চলতি আইপিএলে হর্ষিত ১৭ ও বৈভব ১০ উইকেট নিয়েছেন এখনও পর্যন্ত। অজি পেসার বলছেন, ''ওঁরা তরুণ। ওঁদের দেখে দারুণ লাগছে। অসাধারণ স্কিলফুল ও প্রতিভাবান প্লেয়ার। হর্ষিত এই বছর অনবদ্য ফর্মে রয়েছে। কোনও একজনের নাম নেওয়া যাবে না। গোটা বোলিং ডিপার্টমেন্টই ভাল পারফর্ম করেছে।''
উল্লেখ্য, গতকাল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে ১৫৯ রান বোর্ডে তুলে নেয় সানরাইজার্স। রান তাড়া করতে নেমে ১৩.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় কেকেআর।