IPL 2025: সূর্যকুমারের সামনেই মুম্বই ম্যাচে তাঁর সর্বকালীন রেকর্ড ভাঙলেন শুভমন গিল
Shubman Gill: পল্টনদের বিরুদ্ধে আমদাবাদে আজ ২৭ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন শুভমন গিল।

আমদাবাদ: ইডেন গার্ডেন্সে বারংবার রোহিত শর্মা জ্বলে উঠেন। অতীতে ক্রিকেটের নন্দন কানান মানেই মহম্মদ আজহারউদ্দিনের বড় বাঁধা ছিল বলেই অনেকে মনে করতেন। তেমনই নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম যেন শুভমন গিলের (Shubman Gill) স্বর্গরাজ্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক বা আইপিএল। এই ম্যাচে বারংবার জ্বলে উঠে গুজরাত টাইটান্স অধিনায়কের ব্যাট। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে (GT vs MI) এই মাঠেই সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে ফেললেন ভারতীয় ক্রিকেটের 'প্রিন্স'।
পল্টনদের বিরুদ্ধে ২৭ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন শুভমন গিল। এই ইনিংসের সুবাদেই তিনি নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হাজার রানের গণ্ডি পার করে ফেললেন। প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলে এই মাঠে হাজার রান পূরণ করলেন গিল। এই ফর্ম্যাটে এই স্টেডিয়ামে গিলের তিনটি সেঞ্চুরিও রয়েছে। মাত্র ২০টি ইনিংস খেলেই এই স্টেডিয়ামে হাজার রানের গণ্ডি পার করলেন তিনি। এত দ্রুত এক মাঠে হাজার রানের রেকর্ড আর কোনও ভারতীয়র নেই। এদিন প্রতিপক্ষ থাকা সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) রেকর্ড ভাঙলেন শুভমন।
সূর্যকুমার ওয়াংখেড়েতে ৩১ ইনিংসে হাজার রান করেছিলেন। সেটিই ছিল কোনও ভারতীয় ব্য়াটারের এক মাঠে দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড। সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার হল আজ। অবশ্য এক মাঠে দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ডের মালিক এখনও ক্রিস গেল। তিনি ১৯ ইনিংসে চিন্নাস্বামীতে হাজার রান করেছিলেন।
এদিন খানিকটা মন্থরভাবে করলেও পাওয়ার প্লের শেষের দিকে সুযোগ পেয়েই আক্রমণ হানান শুভমন গিল সাই সুদর্শনরা (Sai Sudarshan)। ষষ্ঠ ওভারে উঠে ২০ রান। বিনা উইকেটে ৬৬ রান উঠে পাওয়ার প্লেতে। তবে ছন্দে দেখানো শুভমন হার্দিক পাণ্ড্যর (Hardik Pandya) বলে ৩৮ রানে সাজঘরে ফেরেন। এই নিয়ে পাঁচ ইনিংসে চতুর্থবার হার্দিকের বলে আউট হলেন গিল। ওপেনিং পার্টনারকে হারালেও সুদর্শন নিজের ছন্দেই ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। জস বাটলারের সঙ্গে সুন্দর একটি পার্টনারশিপও গড়েন তিনি।
৩৩ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কার সুবাদে এবারের আইপিএলে নাগাড়ে দ্বিতীয় অর্ধশতরান পূরণ করেন সুদর্শন। এই নিয়ে আইপিএলের শেষ ছয় ইনিংসে সুদর্শন চারটি অর্ধশতরান ও একটি শতরান হাঁকালেন। বাঁ-হাতি তামিলনাড়ু ব্যাটার যে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন, তা বলাই বাহুল্য। বাটলারের সঙ্গে মিলে ইনিংস ভালভাবেই এগোচ্চিলেন তিনি। তবে ৩৯ রানে বাটলারকে সাজঘরে ফেরত পাঠান মুজিব-উর-রহমান। এরপরেই নিরন্তর ব্যবধানে উইকেট হারানো শুরু হয়। সুদর্শনও ট্রেন্ট বোল্টের বলে ৬৩ রানে ফেরেন।
শেষ পাঁচ ওভারে ৫৬ রানের বিনিময়ে ছয় উইকেট হারায় গুজরাত। শুরুটা ভাল করার পরেও, মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় পরপর উইকেট হারিয়ে ছন্নছাড়া হয়ে যায় গুজরাতের ইনিংস। রাদারফোর্ড (১৮) বাদে আর কোনও গুজরাত মিডল অর্ডার ব্যাটার দুই অঙ্কের রানই করতে পারেননি। এর ফলেই ১৯৬ রানে থামতে হয় গুজরাতকে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
