IPL Points Table: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রেকর্ড গড়ার রাতে পয়েন্ট টেবিলে লম্বা লাফ কেকেআরের, কোন দল কোথায়?
KKR vs SRH: আইপিএলের ইতিহাসে রানের নিরিখে এটা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে পরাজয়। গত বছর চেন্নাইয়ে সিএসকে-র কাছে ৭৮ রানে হেরেছিল হায়দরাবাদ। সেই নজিরও ছাপিয়ে গেল এদিন।

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: সাপ-লুডোর খেলা যেন। বৃহস্পতিবারের আগে পর্যন্ত এক দল ছিল আইপিএল (IPL 2025) পয়েন্ট টেবিলের আট নম্বরে। আর এক দল দশে। আটে ছিল গতবারের ফাইনালিস্ট দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আর লাস্ট বয় হয়ে বসেছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স।
ইডেনে বৃহস্পতিবার কেকেআরের রেকর্ড জয়ের পর সব অঙ্ক ওলট-পালট হয়ে গেল। পয়েন্ট টেবিলে বিরাট প্রোমোশন শাহরুখ খান-জুহি চাওলার নাইটদের। দশ থেকে এক লাফে পাঁচে উঠে এল কেকেআর। ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট হল নাইটদের। সবচেয়ে বড় কথা, ২০ বল বাকি থাকতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে অল আউট করে দিয়ে ও ৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ভেন্টিনেশনে থাকা রান রেটকেও এক রাতে সুস্থ করে ফেলল কেকেআর। আর সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচ হেরে নেমে গেল দশ নম্বরে। ৪ ম্যাচে ২ পয়েন্ট প্যাট কামিন্সদের।
২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট করে রয়েছে পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ঝুলিতে। তবে রান রেটে এগিয়ে থাকায় পাঞ্জাব একে। দিল্লি দুইয়ে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও গুজরাত টাইটান্সের ঝুলিতে ৩ ম্যাচে রয়েছে চার পয়েন্ট করে। আরসিবি রান রেটে এগিয়ে থাকায় তিনে, জিটি চারে। ছয় থেকে ৯ নম্বরে রয়েছে যথাক্রমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, লখনউ সুপার জায়ান্টস, চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালস।
আইপিএলের ইতিহাসে রানের নিরিখে এটা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে পরাজয়। গত বছর চেন্নাইয়ে সিএসকে-র কাছে ৭৮ রানে হেরেছিল হায়দরাবাদ। সেই নজিরও ছাপিয়ে গেল এদিন।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এর আগে একমাত্র দিল্লি ক্যাপিটালস টানা পাঁচ ম্যাচে জিতেছিল। সেই রেকর্ডে ভাগ বসাল কেকেআর। টানা পাঁচ ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারালেন নাইটরা। সব মিলিয়ে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এটা কেকেআরের ২০তম জয়।
Big wickets. Brilliant spell ⚡️
— IndianPremierLeague (@IPL) April 3, 2025
🎥🔽 WATCH Player of the Match Vaibhav Arora's electric spell of 3/29 | #TATAIPL | #KKRvSRH | @KKRiders
ম্যাচের পর কেকেআরের অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে বলেছেন, 'আমাদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। বড় ব্যবধানে জেতাটা খুব জরুরি ছিল। দ্রুত ২টি উইকেট হারানোর পর ঠিক করেছিলাম, পাওয়ার প্লে-তে দেখে খেলব আর ক্রিকেটীয় শট খেলব। তারপর হাতে উইকেট থাকার পর হাত খুলে শট খেলা সম্ভব হয়েছে। শেষ ২টি ম্যাচ আমাদের খারাপ কেটেছে। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছিলাম।'




















