‘জন্মভূমির বিরুদ্ধে খেলতে ভয় পাবে না জোফরা’, বলছেন ক্যাপ্টেন মর্গ্যান
জোফরা আর্চার। যার জন্ম ওয়েস্ট ইন্ডিজে, অথচ জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ খেলছেন ইংল্যান্ড দলের হয়ে।
সাউদাম্পটন: বৃষ্টি হবে? আপাতত ম্যাচের অঙ্ক কষা ভুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে মেঘের দিক নির্দেশ নিয়ে গবেষণা করছে ব্রিটিশরা। এবারের বিশ্বকাপে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির মতো হঠাৎ জেগে ওঠা ক্যারিবিয়ান দলও চাইছে, বৃষ্টি যেন তাঁদের গতিপথে কোনও ভাবেই বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। এমন অবস্থায় দুই দলকেই ভাবিয়ে তুলছে একজন ক্রিকেটার। জোফরা আর্চার। যার জন্ম ওয়েস্ট ইন্ডিজে, অথচ জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ খেলছেন ইংল্যান্ড দলের হয়ে।
বাবা ব্রিটিশ। মা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান। বার্বাডোজেই মামাবাড়ি জোফরার। সেখানেই জন্ম। ক্রিকেটে হাতেখড়িও হয়েছে সেখানেই। তবে এটাই বোধহয় ভাগ্যের পরিহাস, যার খেলার কথা ছিল গেইল, হোল্ডার, রাসেলদের সঙ্গে, সেই তিনিই খেলছেন তাঁদের বিরুদ্ধে।
চলতি বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে রয়েছেন সাসেক্সের এই অলরাউন্ডার। বিশেষ করে বোলিংয়ে, ম্যাচ যত এগোচ্ছে ততই ভয়ঙ্কর হচ্ছেন জোফরা। তবে এবার ম্যাচটা প্রতিভার সঙ্গে মনের জোর দিয়েও খেলতে হবে তাঁকে। জন্মভিটের বিরুদ্ধে খেলতে হবে, তাও বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে। অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে একটুও হাত কাপবে না জোফরার। ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে বল ওভার বাউন্ডারিতে পাঠানোর ক্ষমতা রাখা জোফরা ভয়ডরহীন ভাবেই খেলবেন।
অতীতে মর্গ্যানও এই একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। আয়ারল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক করা মর্গ্যান আইরিশ দলের হয়ে ২৩টি ম্যাচ খেলার পর ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে শুরু করেন। তারপর তো গোটা খেলাটাই ঘুরে গেল। মর্গ্যান হয়ে উঠলেন ব্রিটিশ দলের স্তম্ভ। তাঁর নেতৃত্বেই এবার বিশ্বকাপও খেলছে ইংল্যান্ড। মর্গ্যান তাঁর অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে দিয়েই বলছেন, “জোফরা দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিক। ইংল্যান্ড দলে ওকে পেয়ে ভাল লাগছে। যে দেশের হয়ে খেলতে পারত, সেই দেশের বিরুদ্ধেই খেলতে হবে, এটা প্রথমে একটু অন্যরকমই লাগবে। তবে আমি নিশ্চিত, এই পরিস্থিতি জোফরা খুব সহজেই সামাল দিতে পারবে। আমার কোনও সমস্যা হয়নি। এটা কঠিন ম্যাচের থেকেও বেশি চ্যালেঞ্জের মতো।”