ভারত ম্যাচ নিয়ে উত্তেজিত না হয়ে সতীর্থদের শান্ত থাকার পরামর্শ মাশরাফির
২০০৭-এর পুনরাবৃত্তি ঘটুক, চাইছে বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগীরা।
বার্মিংহাম: মঙ্গলবার বার্মিংহামের এজবাস্টন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও বাংলাদেশ। রবিবার ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর স্বাভাবিক ভাবেই টাইগারদের বিরুদ্ধে আরও আগ্রাসী হবেন বিরাটরা। অন্যদিকে, মাশরাফিরাও মেন ইন ব্লু-দের বিরুদ্ধে মরণ কামড় দিতে সর্বোতভাবে চেষ্টা করবে। বেঙ্গল টাইগাররা সেই মতো প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছে। ২০০৭-এর পুনরাবৃত্তি ঘটুক, চাইছে বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগীরাও। অন্যদিকে ভারতীয় ফ্যানদের মধ্যেও রয়েছে ব্যাঘ্রবিক্রমের উদগ্র বাসনা। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ভারত বনাম বাংলাদেশ ডুয়েলের একাধিক মিমও। তবে এসব থেকে শতযোজন দূরে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজা। দলের বাকিরাও যেন এই উত্তেজনা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখে শান্ত থাকেন সেই পরামর্শই দিয়েছেন তিনি।
টাইগারদের দলপতি মাশরাফি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যানদের উত্তেজনা তাঁদের কোনওভাবেই সাহায্য করবে না। বরং তিনি মনে করেন, ভারত ম্যাচের আগে শান্ত থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। তিনি বলছেন, “এখন সর্বাধিক প্রয়োজন মাথা ঠান্ডা রাখা। এমন পরিস্থিতিতে শান্ত থাকা ক্রিকেটারদের পক্ষে সত্যিই কঠিন। ম্যাচে স্নায়ুর চাপ নেওয়াটাই আসল চ্যালেঞ্জ। এমন অবস্থায় শান্ত থাকাই শ্রেয়।”
একই সঙ্গে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। তিনি বলছেন, তৎকালীন অধিনায়ক হাবিবুল বাশার তাঁকে অনেক সাহায্য করেছেন। ভারতের বিরুদ্ধে জয়ে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। ম্যাচের সেরাও হয়েছিলেন মাশরাফি। এক যুগ পরে আবার তেমনই এক মহারণে এবার দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। মাশরাফি মনে করছেন, রাহুল-রোহিত-বিরাট-ঋষভ-ধোনি-হার্দিকদের কাছে কঠিন পরীক্ষা হতে চলেছেন বাঁ হাতি স্পিডস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ১০ উইকেট রয়েছে তাঁর। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির কথায়, “মুস্তাফিজুর ফর্মে রয়েছে। ওর কাটারও ঠিকঠাক ভাবে কাজ করেছে। ও ভাল খেলবে।”