‘দাদা’র মডেলেই মাহি, ইয়ংস্টারদের মনোবল বাড়িয়েছেন, মত জাহিরের
ভারতীয় ক্রিকেটের ২ প্রাক্তন অধিনায়ককে নিয়ে এবার খোলামেলা আলোচনায় জাহির খান।
নয়াদিল্লি: ভারতীয় ক্রিকেটের ২ প্রাক্তন অধিনায়ককে নিয়ে এবার খোলামেলা আলোচনায় জাহির খান। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য জাহির, ইউটিউবে গৌরব কপূরের একটি শো-তে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর কথায়, সৌরভের পথই অনুসরণ করেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। বিশেষ করে ইয়ংস্টারদের মনোবল জুগিয়ে দল গঠনের ক্ষেত্রে সৌরভ যে ভূমিকা নিয়েছেন, পরবর্তীতে সেই একই ভূমিকা পালন করেছেন মাহিও।
২০০৩ সালে সৌরভের নেতৃত্বে ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান, সেই দলে ছিলেন জাহির। আর তার ৮ বছর পর ২০১১ সালে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে বিশ্বজয়, সেই ভারতীয় দলেও ছিলেন তিনি। নিজের সেই অভিজ্ঞতাকে পাথেও করেই এই বাঁ হাতি পেসার বলেন, কেরিয়ার শুরুর সময় পিছন থেকে একটা শক্ত সমর্থনের প্রয়োজন হয়, যেটা তিনি ‘দাদা’র কাছ থেকে পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একজন ইয়ংস্টারের যে সমর্থনের প্রয়োজন হয়, সৌরভ অধিনায়ক হিসেবে সেটা দিয়েছেন। ধোনির নেতৃত্বেও এই একই ধরনের অনুশীলন তাঁর চোখে পড়েছে।
জাহির খান। ছবি ফেসবুক থেকে।সৌরভের পরবর্তী সময়ে ধোনি যখন দলের দায়িত্ব পেয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তাঁকে বিশেষ কিছুই করতে হয়নি। দলে অনেক সিনিয়র ক্রিকেটাররা ছিলেন। তবে পরে যখন সিনিয়ররা একে একে অবসর নিতে শুরু করলেন, তখন মাহিও ইয়ংস্টারদের সঙ্গে সৌরভের মতোই আচরণ করেছেন, এমনই মন্তব্য জাহিরের। তাঁর কথায়, “এমএস যখন দল পেল তখন ওকে বিশেষ কিছু করতেই হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারকেই ও দলে পেয়েছে। তখন ওকে সেভাবে কিছু করতে হয়নি। তবে যখন একে একে সিনিয়ররা অবসরের পথে যেতে শুরু করল, অতীতে দাদা ইয়ংস্টারদের প্রতি যে দায়িত্ব নিয়েছিল তেমনই দায়িত্ব নিয়েছে এমএসও।” জাহির আরও বলেন, “ভারতীয় দলের দায়িত্ব যখন যে ক্রিকেটার কাঁধে এসেছে, তিনি দায়িত্ব নিয়ে সেই ব্যাটন এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ১৯৩২ থেকে চলতি ২০২০, স্বাধীনতার আগে ও পরে মিলিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে এখনও পর্যন্ত ৩৩ জন ক্রিকেটার নেতৃত্ব (টেস্ট) দিয়েছেন। এই তালিকায় প্রথম জন সিকে নায়ডু এবং শেষ জন অজিঙ্কা রাহানে। অন্যদিকে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ভারতকে প্রথম নেতৃত্ব দেন অজিত ওয়াদেকর। এই ফরম্যাটে এখনও পর্যন্ত ২৪ জন দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, রোহিত শর্মা যাদের মধ্যে নবীনতম। এঁদের মধ্যে ভারত তিন অধিনায়কের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে এবং ২ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এরপর ২০০৩ সালে সৌরভের নেতৃত্বে দেশ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেললেও জয় অধারই থেকে যায়। তারও পরে ধোনির নেতৃত্বে ২০১১ সালে ভারত বিশ্বকাপ জেতে। এছাড়াও ধোনির নেতৃত্বেই ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জয় পায়।