Mohammed Shami: "শামি একজন শিল্পী, কোনও কোচের পক্ষে এমন শিল্পী তৈরি করা সম্ভব নয়"
Paras Mhambre On Mohammed Shami: বিশ্বকাপের মঞ্চে ২০১৯ সালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। এবারও বিশ্বকাপে সর্বাধিক উইকেট শিকারি ছিলেন মহম্মদ শামি। মাত্র ৭ ম্য়াচে ২৪ উইকেট নিয়েছিলেন।
নয়াদিল্লি: বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন মাত্র ৭ ম্যাচে চব্বিশ উইকেট তুলে দিয়েছিলেন। টুর্নামেন্টের সর্বাধিক উইকেট শিকারিও ছিলেন তিনি। দু দুটো ম্যাচে ৫ উইকেট দিয়েছেন। তখনই বল হাতে নিয়েছেন তখনই যেন ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছেন। এবার তেত্রিশ বছরের এই তারকা ডানহাতি পেসারকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন ভারতীয় দলের বোলিং কোচ পারস মামব্রে।
বর্তমান ভারতীয় দলের বিধ্বংসী বোলিং লাইন আপের সাফল্যের পেছনে অন্যতম কারণ মামব্রের উপস্থিতি। তবে শামির বর্তমানে যে সাফল্য তার পেছনে কোন কৃতিত্ব নিজে নিতে নারাজ প্রাক্তন এই বোলার। এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় দলে বোলিং কোচ বলছেন যে, "যদি আমি বলি যে কোনও কোচের অধীনে থেকে কোনও বোলার সামির মত এমন সাফল্য অর্জন করতে পারবে, তাহলে আমি মিথ্যা কথা বলছি। শামি একজন শিল্পী বোলার। ওর মতো শিল্পী তৈরি করা কোনও কোচের পক্ষে সম্ভব নয়।"
মামব্রে মনে করেন যে, শামি যেভাবে আপরাইট সিম পজিশনে বল ক্রিজে সঠিক জায়গায় ছুড়তে পারেন, তা সত্যিই খুব কম দেখা যায়। তিনি বলেন, "শামির সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হল ও আপরাইট সিম পজিশনে বল ক্রিজে রাখতে পারে। যে যে বোলাররা এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারবে, তারা সবাই শামির মত সাফল্য অর্জন করতে পারবে।"
মামব্রে আরও বলেন, "শামি অসম্ভব পরিশ্রমী। নেটে ঘন্টার পর ঘন্টা অনুশীলন করে ও। নিজেকে নিখুঁত করে তুলতে চায় ক্রমাগত। এভাবে রিস্ট পজিশনে সঠিক রেখে আপরাইট সিমের ওপর টানা পরপর বল করে যাওয়া মুখের কথা নয়। ও সত্যি বিস্ময়।"
সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। তাঁর বোলিং মুগ্ধ করেছে সকলকেই। তা সত্ত্বেও ভারতীয় দলের বিশ্বজয় অধরাই রয়ে গিয়েছে বটে। তবে দুরন্ত পারফরম্যান্সের সুফল পেলেন তিনি। ভারতের তারকা বোলারকে আইসিসি প্লেয়ার অফ দ্য মন্থের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
মহম্মদ শামি নভেম্বর মাসে বল হাতে স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন। তিনি গত মাসে বিশ্বকাপে ২৪টি উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক হিসাবে টুর্নামেন্ট শেষ করেন। তাঁর ইকোনমি রেট ছিল ৫.৬৮ এবং গড় ১২.০৬। অপরদিকে হেড চোটের কারণে বেশ কিছু ম্যাচ না খেললেও, বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং গ্রুপ পর্বে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান হাঁকান। ৪৪ গড়ে পাঁচ ম্যাচে মোট ২২০ রান করেন তিনি। আর ম্যাক্সওয়েল শেষ তিন ওয়ান ডে ম্যাচে ২০৪ গড়ে ২০৪ রান করেছেন। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ঐতিহাসিক দ্বিশতরান এখন ইতিহাসের অংশ। তাই তিন দুরন্ত ক্রিকেটারের মধ্যে সেরার লড়াইটা কিন্তু জমজমাট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।