Paris Olympics 2024 : বাবা মার্চেন্ট নেভির চিফ ইঞ্জিনিয়ার, দেড় লক্ষ টাকায় প্রশিক্ষণ; আগে আর কী কী সাফল্য মনুর ?
Shooting at Olympics : বয়স মাত্র ২২। এখনই কার্যত সাফল্যের চূড়ায়। প্রথম কোনও ভারতীয় মহিলা শ্যুটার অলিম্পিক্সে পদক জিতলেন।
নয়াদিল্লি : জন্ম হরিয়ানার ঝাজ্জরে। শ্যুটিং নয় বক্সিং আর কুস্তির জন্যই যে জায়গা বিখ্যাত। ছোটবেলায় কিন্তু টেনিস, বক্সিং আর স্কেটিংই ছিল ধ্যানজ্ঞান। কিন্তু ১৪ বছর বয়সে বদলে গেল সবকিছু। ভালবেসেই হাতে তুলে নেওয়া পিস্তল। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এবার প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতের প্রথম পদকও এল তাঁর হাত ধরেই। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল শ্যুটিংয়ে ব্রোঞ্জ জয় করে ভারতের অলিম্পিক্স জয়গাঁথা শুরু করে দিলেন মনু ভাকর। শ্যুটিংয়ে প্রথম কোনও ভারতীয় মহিলা শ্যুটার অলিম্পিক্সে পদক জিতলেন। তাঁর এই সাফল্যের পর তাঁকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু, কীভাবে শুরুটা হয়েছিল মনুর ?
বয়স মাত্র ২২। এখনই কার্যত সাফল্যের চূড়ায়। প্রথম কোনও ভারতীয় মহিলা শ্যুটার অলিম্পিক্সে পদক জিতলেন। এদিন তিনি ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের ফাইনালে তৃতীয় স্থান দখল করেন।
২০০২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানার ঝাজ্জর জেলার গরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন । অল্প বয়সে টেনিস, বক্সিং, স্কেটিং, মণিপুরি মার্শাল আর্ট হুয়েন ল্যাঙ্গলনও শেখেন। এই মার্শাল আর্টে তিনি জাতীয় পুরস্কারও পান। যদিও শেষমেশ তিনি শ্যুটিংকেই নিজের কেরিয়ার হিসাবে বেছে নেন।
মনুর বাবা রামকিষণ ভাকর মার্চেন্ট নেভির চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করেন। তিনি মেয়েকে শ্যুটিং শেখাতে দেড় লক্ষ টাকা খরচ করেন। বাবা ছাড়াও, তাঁর পরিবারে রয়েছেন মা সুমেধা ভাকর ও ভাই অখিল ভাকর।
মনুর শ্যুটিং জার্নি-
দিল্লির লেডি শ্রী রাম কলেজ ফর উইমেনে পড়াশোনা করেন। মনু ২০১৭ সালে এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে রুপোর পদক জিতে আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্যের খাতা খোলেন। এরপর একই বছরে কেরলে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল গেমসে ন'টি স্বর্ণ পদক জেতেন। বছরের পর বছর ধরে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি জেতেন মনু। ২০১৮-য় যুব অলিম্পিক্স গেমসে সোনার পদক জেতেন। এরপর ২০২১-এ ISSF জুনিয়র ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপেও সোনা জয়। সঙ্গে রয়েছে আরও অন্যান্য পুরস্কার। ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিক্স তাঁর অভিষেক হয়েছিল।
এবার প্যারিস অলিম্পিক্সে ২২১.৭ স্কোর করে ফাইনালে তৃতীয় স্থান অধিকার করে নেন মানু। সোনা ও রুপো জেতেন কোরিয়ার ২ শ্যুটার। ২১ তম শটের শেষে ০.১ পয়েন্টে এগিয়ে দু'নম্বরে ছিলেন মনু। ২২ তম শটে ১০.৩ স্কোর করেন। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার শ্যুটার ১০.৫ স্কোর করে মনুকে টপকে যান। সোনাজয়ী কোরিয়ার শ্যুটার ওহ ইও জিন ২৪৩.২ স্কোর করেন। যা অলিম্পিক্সের মঞ্চে বিশ্বরেকর্ড। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কোরিয়ার কিম ইয়ে জি ২৪১.৩ স্কোর করেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।