(Source: Poll of Polls)
Tokyo Olympics 2020: নেই কোচ, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাও অল্প, ফাইনালে ব্যর্থ হলেও কমলপ্রীতকে কুর্নিশ ক্রীড়ামহলের
২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক্সে ডিসকাসের ফাইনালে ষষ্ঠস্থানে থেকেই শেষ করেছিলেন ২০১০ কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী কৃষ্ণা পুনিয়া।
টোকিও : শেষরক্ষা হল না। তারিফ করার মতো প্রয়াস চালালেও ডিসকাস থ্রো ইভেন্টে ৬৩.৭০ মিটার ছুড়ে ষষ্ঠস্থানে অভিযান শেষ করতে হল কমলপ্রীত কৌরকে। যোগ্যতাঅর্জন পর্বে ৬৪ মিটার ডিসকাস ছুড়ে প্রবল প্রত্যাশা তৈরি করে ফাইনালে পৌঁছেছিলেন পঞ্জাবের মেয়ে। তবে বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনালের মঞ্চে নিজের সেরাটা দিতে ব্যর্থ হলেন তিনি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিজ্ঞতার অভাব ও কোচ না থাকাই চূড়ান্ত মঞ্চে কমলপ্রীতকে ভোগাল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
গত শনিবার যোগ্যতাঅর্জন পর্বে ৬৪ মিটার ডিসকাস ছুড়ে দু'নম্বরে থেকে ফাইনালে পৌঁছেছিলেন কমলপ্রীত। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক্সে ডিসকাসের ফাইনালে ষষ্ঠস্থানে থেকেই শেষ করেছিলেন ২০১০ কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী কৃষ্ণা পুনিয়া। এবার কমলপ্রীতের লড়াই অবশ্য বাড়তি কুর্নিশ আদায় করে নিচ্ছে অন্য কারণে। কারণ, অর্থাভাবের জেরে কোনও ব্যক্তিগত কোচ নেই কমলপ্রীতের। এর আগে শুধুমাত্র ২০১৭ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমস ছাড়া শূন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিজ্ঞতার ঝুলিও।
দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে পঞ্জাবের কাবারওয়ালা গ্রামের সামান্য এক কৃষকের মেয়ে কমলপ্রীতের চেষ্টার প্রশংসা অবশ্য ক্রীড়ামহলের সর্বত্র। বিশেষ করে যখন আগের দু'বারের ডিসকাসের অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন ক্রোয়েশিয়ারর সান্ড্রা পেরকোভিচ এবারে পদক জিততে ব্যর্থ হয়েছে। মহিলাদের ডিসকাস ইভেন্টের ফাইনালে ৬৮.৯৮ মিটার ছুড়ে প্রথম হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যালেরি আলমান। রুপো জিতে নিয়েছেন জার্মানির ক্রিস্টিন পুদনেজ। তিনি ফাইনালে ছোড়েন ৬৫.৭২ মিটার। আর ব্রোঞ্জ পেয়েছেন কিউবার ডিসকাস থ্রোয়ার। এদিকে, ইকোয়েস্ট্রিয়ানে জাম্পিং ইনডিভিজুয়াল ফাইনালের যোগ্যতা পেয়েছেন ভারতের ফওয়াদ মির্জা।
পাশাপাশি সোমবার সকালে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪-৩ গোলে হারানোর পর থেকেই শুরু হয়েছিল উদ্বেগের প্রহর। ভারতীয় মহিলা হকি দলের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা নির্ভর করেছিল সন্ধ্যায় গ্রেট ব্রিটেন বনাম আয়ার্ল্যান্ড ম্যাচের ওপর। সেই ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন গ্রেট ব্রিটেন আইরিশদের ২-০ গোলে পরাস্ত করতেই খুশির আবহ ভারতীয় শিবিরে। শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত হয়ে গেল রানি রামপালদের। ৪১ বছর পর অলিম্পিক্সে হকির কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল ভারতের মহিলা দল। এর আগে ১৯৮০ সালের মস্কো অলিম্পিক্সে সেমিফাইনালে উঠেছিল ভারতের মহিলা হকি দল। তবে সেবার চতুর্থ হয়ে প্রতিযোগিতা শেষ করেছিল ভারত।