Sunil Narine: ৩৫তম জন্মদিনে বল হাতে ভেল্কি দেখালেন বিস্ময়-স্পিনার নারাইন
KKR: আইপিএলে ২০১২ সালে তাঁকে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তারপর থেকে তিনি নাইটদের তুরুপের তাস।
লন্ডন: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনি সর্বকালের অন্যতম সেরা স্পিনার। সব ধরনের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মিলিয়ে ৪৯১ উইকেট নিয়েছেন। অনেকে এই ফর্ম্যাটে তাঁকে কিংবদন্তি মনে করেন।
সেই সুনীল নারাইন (Sunil Narine) শুক্রবার ৩৫ বছর সম্পূর্ণ করলেন। ছত্রিশে পা দিলেন ক্যারিবিয়ান স্পিনার। জন্মদিনেও বল হাতে ভেল্কি দেখালেন নারাইন। টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে সারের হয়ে খেলছেন তিনি। মিডলসেক্সের বিরুদ্ধে ২ উইকেট নিলেন তিনি।
আইপিএলে ২০১২ সালে তাঁকে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তারপর থেকে তিনি নাইটদের তুরুপের তাস। ২০১২ ও ২০১৪, যে দুবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কেকেআর, বল হাতে জ্বলে উঠেছেন নারাইন। তাঁর ঘূর্ণির হদিশ না পেয়ে একের পর এক ব্যাটার আত্মসমর্পণ করেছেন। আইপিএলে সব মিলিয়ে ১৬৩ উইকেট নিয়েছেন নারাইন।
২০১২ সালে যেবার কেকেআর প্রথমবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, বল হাতে ১৫ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান স্পিনার। ওভার প্রতি মাত্র ৫.৪৭ রান খরচ করে। ২০১৪ সালে ফের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় কেকেআর। ১৬ ম্যাচে সেবার ২১ উইকেট নেন। সেবারও ঈর্ষণীয় ইকনমি রেট। ৬.৩৫। তাঁর কোন বলটা পড়ে ভেতরের দিকে আসবে, আর কোনটা বাইরের দিকে যাবে, কুল কিনারা পেতেন না ব্যাটাররা। যে কারণে নারাইনকে বলা হতো বিস্ময় স্পিনার।
তবে এবারের আইপিএলটা ভুলতে চাইবেন নারাইন। ক্যারিবিয়ান স্পিনার একেবারেই চেনা ছন্দে ছিলেন না। ১৪ ম্যাচে মাত্র ১১ উইকেট নিয়েছেন। খরচ করেছেন ওভার প্রতি ৭.৯৮ রান। যা একেবারেই নারাইন সুলভ নয়।
তবে জন্মদিনে ফের মাঠে নেমে পড়েছেন। আইপিএলে কেকেআরের অভিযান শেষ হতেই টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে নেমে পড়েছেন নারাইন। প্রথম ম্যাচেই নিয়েছেন ২ উইকেট।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটা অভিনব মাইলফলকের হাতছানিও রয়েছে নারাইনের সামনে। ক্রিকেটের এই ফর্ম্যাটে পাঁচশো উইকেটের সামনে দাঁড়িয়ে নারাইন। ৪৫৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪৯১ উইকেট নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার। আর মাত্র ৯ উইকেট নিলেই পাঁচশো ক্লাবে প্রবেশ করবেন নারাইন।
কেউ কেউ বলছেন, যবে থেকে ইডেনের উইকেটের চরিত্র বদলেছে, তবে থেকে নারাইন বর্ণহীন। একটা সময় ছিল ইডেন মানেই নাইটদের চেনা ফর্মুলা - প্রথমে ব্যাট করো। ১৪০ রান বোর্ডে তুলে দাও। তারপর মন্থর পিচে স্পিনের ফাঁদে প্রতিপক্ষকে নাকানি চোবানি খাওয়াও। যদিও পাল্টে যাওয়া উইকেটের চরিত্রের সঙ্গে ইডেনে কেকেআরের স্ট্র্যাটেজিও বদলে গিয়েছে। এখন পেসাররাও সমান গুরুত্ব পান নাইট শিবিরে। যদিও এবার মরসুমের শুরু থেকেই ছবিটা বেশ আলাদা। কিছুটা যেন পুরনো ঝলক। কেকেআরের এবারের সেরা অস্ত্র স্পিনাররাই। সুনীল নারাইন, বরুণ চক্রবর্তী ও সুয়াশ শর্মার স্পিন ত্রিফলা প্রতিপক্ষকে বিঁধলে কেকেআর জিতেছে। ঘায়েল করতে না পারলে কেকেআর হেরেছে। নারাইন ছন্দে নেই। তবু তাঁর গুরুত্ব কমেনি।