IPL 2024 Auction: আজ নিলামের মঞ্চে ক্রিকেটারদের দর হাঁকাবেন এই সুন্দরীই, কে এই মল্লিকা সাগর?
IPL Auctioneer: এতদিন পর্যন্ত বিদেশি অকশনারকেই দেখা গিয়েছে নিলাম পর্ব পরিচালনা করতে। শেষ হিউ এডমিডস নিলাম পরিচালনা করেছেন। গত মরসুমে নিলামের সময় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
দুবাই: উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের নিলামের (Tata IPL 2024 Auction) মঞ্চে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার আইপিএল ২০২৪ (IPL 2024) মরসুমের নিলামের মঞ্চেও তাঁকে দেখা যাবে। তিনি মল্লিকা সাগর (Mallika Sagar)। এই প্রথমবার আইপিএলের অকশনার হিসেবে একজন মহিলাকে দেখা যাবে। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সরকারি বিবৃতি না দেওয়া হলেও সূত্রের খবর, ডব্লিউপিএলের পর এবার আইপিএলেও নিলাম পর্ব পরিচালনার দায়িত্ব মল্লিকার ওপরই। এর আগে ২০২১ সালে প্রো কবাডি লিগে নিলাম পরিচালনা করেছেন।
এতদিন পর্যন্ত বিদেশি অকশনারকেই দেখা গিয়েছে নিলাম পর্ব পরিচালনা করতে। শেষ হিউ এডমিডস নিলাম পরিচালনা করেছেন। গত মরসুমে নিলামের সময় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় নিলাম পরিচালক ও প্রাক্তন ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার চারু শর্মাকে ডেকে নেওয়া হয়। এর আগে ১০ বছর রিচার্ড ম্যাডলি আইপিএলের নিলাম পরিচালনা করেছেন। তবে এই প্রথমবার কোনও মহিলা অকশনারকে দেখা যাবে আইপিএল নিলামের মঞ্চে। সূত্রের খবর, চলতি বছরের মে মাসেই নাকি এডমিডসকে নিলামের সঞ্চালকের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এরপরই উঠে আসে মল্লিকার নাম।
মল্লিকা ফিলাডেলফিয়া ব্রায়ন মাবর বিশ্ববিদ্যাল থেকে স্লাতকোত্তর পাশ করেছেন। কলা ইতিহাস নিয়ে পড়াশুনো করার পর মাত্র ২৬ বছর বয়সে ক্রিস্টিনে এক অকশন কোম্পানিতে নিজের পেশাদার জীবন শুরু করেন। ২৩ বছরের পেশাদার জীবনের পর প্রথমবার আইপিএলের মঞ্চে নিলামের সঞ্চালনা করবেন। ৪৮ বছরের মল্লিকা বলছেন, ''আমার কেরিয়ারের নতুন একটা মাইলস্টোন হতে চলেছে। অসাধারণ অনুভূতি এটি।''
মহারাষ্ট্রের এক ব্য়বসায়ী পরিবারে জন্ম হয় মল্লিকা সাগরের। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা পাড়ি দেন মল্লিকা। মুম্বইয়ে নিজের একটি অকশন অফিস রয়েছে মল্লিকা। যার মালকিন তিনি নিজেই। গ্লোবাল আর্টে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিলামের পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন মল্লিকা।
উল্লেখ্য়, ২০২৪ মরসুমের আগে এই নিলাম (IPL 2024 Auction) থেকে মোট ৭৭ জন প্লেয়ারকে বেছে নেবে ১০টি দল। দলগুলোর মধ্যে চেন্নাইয় সুপারকিংসের (Chenai Super Kings) কাছে রয়েছে ৩১.৪ কোটি টাকা। দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে রয়েছে ২৮.৯৫ কোটি, গুজরাত টাইটান্সের কাছে রয়েছে ৩৮.১৫ কোটি টাকা, কেকেআরের হাতে ৩২.৭ কোটি টাকা, লখনউ সুপার জায়ান্টসের ১৩.১৫ কোটি টাকা, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রয়েছে ১৭.৭৫ কোটি টাকা, পঞ্জাব কিংসের রয়েছে ২৯.১ কোটি টাকা, আরসিবির হাতে রয়েছে ২৩.২৫ কোটি টাকা। এছাড়া রাজস্থান রয়্যালসের হাতে রয়েছে ১৪.৫ কোটি টাকা ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে রয়েছে ৩৪ কোটি টাকা।