Year Ender 2021: বিশ্বকাপে বিপর্যয়, দ্রাবিড় যুগের শুরু, কোহলি-সৌরভ দ্বন্দ্ব, ভারতীয় ক্রিকেটের ২০২১ কেমন গেল?
Indian Cricket: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিপর্যয়। বিরাট কোহলির জায়গায় সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সৌরভ-বিরাট সংঘাত। ভারতীয় ক্রিকেটে বছরটা কেমন কাটল?
কলকাতা: দেশের মাটিতে আইপিএল (IPL) শুরু হয়েও করোনার ধাক্কায় স্থগিত হয়ে যাওয়া। টুর্নামেন্টের শেষাংশ আয়োজন করতে হয় মরুদেশে। অ্যাডিলেডে ৩৬ অল আউটের কলঙ্ক মুছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) পাকিস্তানের কাছে হেরে আইসিসি টুর্নামেন্টে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে নিরঙ্কুশ সাফল্যের মিথ গুঁড়িয়ে যাওয়া। টিম ইন্ডিয়ায় (Team India) হেডস্যার রবি শাস্ত্রীর (Ravi Shastri) মেয়াদ ফুরনো। কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) দায়িত্বগ্রহণ। বিরাট কোহলির (Virat Kohli) টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব ছাড়া। আর শেষ পাতে ওয়ান ডে নেতৃত্ব থেকে কোহলির অপসারণ এবং রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) হাতে অধিনায়কত্বের ব্যাটন তুলে দেওয়া। যা নিয়ে কোহলি-সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) প্রকাশ্যে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য। ২০২১ সালের মতো নাটক ভারতীয় ক্রিকেট খুব কমই দেখেছে। বছরভর কোন পথে আবর্তিত হল ভারতীয় ক্রিকেট (BCCI), আসুন দেখে নেওয়া যাক।
অজি-ভূমে প্রত্যাঘাত
বছর শেষ হয়েছিল বেনজির কলঙ্কে। অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ম্যাচ হারতে তো হয়েছিলই, সঙ্গী হয়েছিল একরাশ লজ্জা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩৬ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো, এই ম্যাচের পরই পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে আসেন নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কারণ, তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা সন্তানসম্ভবা ছিলেন। বাকি সিরিজের জন্য নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় অজিঙ্ক রাহানেকে। ১-০ পিছিয়ে থাকা অবস্থায় টেস্ট সিরিজে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটায় ভারত। সিরিজ জিতে নেয় ২-১ ব্যবধানে। ক্রিকেটের রূপকথায় জায়গা করে নিয়েছে ভারতের সেই সাফল্য।
স্বদেশে ব্রিটিশ-বধ
ঠিক যেন অস্ট্রেলিয়া সিরিজের চিত্রনাট্য। ফেব্রুয়ারি মাশে ভারত সফরে এসেছিল ইংল্যান্ড। দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরুতেই বিপর্যয়। জো রুটের ডাবল সেঞ্চুরির দাপটে চেন্নাইয়ে হেরে ০-১ পিছিয়ে পড়ে ভারত। তারপর ফের নাটকীয় প্রত্যাবর্তন বিরাট কোহলিদের। পরের তিন টেস্টে ব্রিটিশদের দুরমুশ করে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে ভারত। টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ান ডে সিরিজেও ব্রিটিশ-বধ করে ভারত।
করোনা-কাঁটায় বিদ্ধ আইপিএল
করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে ২০২০ সালে আইপিএল আয়োজিত হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। তবে ২০২১ সালে টুর্নামেন্ট ভারতের মাটিতেই আয়োজন করেছিল বোর্ড। ৯ এপ্রিল শুরু হয় টুর্নামেন্ট। কিন্তু বিধি বাম। জৈব সুরক্ষা বলয়ের বজ্র আঁটুনি পেরিয়ে হানা দেয় করোনা। বেশ কয়েকটি দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফেরা সংক্রমিত হন। আপদকালীন পরিস্থিতিতে ২ মে-র পর টুর্নামেন্ট স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয় বোর্ড। টুর্নামেন্টের বাকি অংশ শেষ করা যাবে কি না, তা নিয়েও এক সময় সংশয় ছিল। অবশেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে, ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির তিন শহর – দুবাই, আবু ধাবি ও শারজায় আয়োজিত হয় আইপিএলের শেষাংশ। ফাইনাল হয় ১৫ অক্টোবর।
বুড়ো হাড়ে ভেল্কি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির আইপিএল খেলা উচিত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন অনেকে। হেলিকপ্টার শটে সমস্ত সমালোচনা উড়িয়ে চেন্নাই সুপার কিংসকে ফের একবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। ধোনি দেখিয়ে দিলেন, চল্লিশে চালশে তো দূর অস্ত, মাঠে তিনি এখনও ম্যাজিক দেখাতে পারেন। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে চমক দিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সও। করোনার ধাক্কায় টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে যাওয়ার সময় পয়েন্ট টেবিলে ধুঁকছিল শাহরুখ খান-জুহি চাওলার দল। তবে মরুদেশে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটান নাইটরা। পৌঁছে যান ফাইনালে। অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। অইন মর্গ্যানদের হারিয়েই চতুর্থবারের জন্য ট্রফি ঘরে তোলে সিএসকে।
কিউয়ি পরীক্ষায় ব্যর্থ
টেস্ট ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করেছে আইসিসি। আর প্রথমবারই ফাইনালের টিকিট আদায় করে নিয়েছিল বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়া। প্রতিপক্ষ ছিল কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। কারা বিশ্বের সেরা টেস্ট দল, তা নির্ধারণ করতে ১৮ জুলাই থেকে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-নিউজিল্যান্ড। তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি ভারত। একপেশেভাবে ৮ উইকেটে ম্যাচ হেরে যান কোহলিরা। প্রথমবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে ইতিহাস গড়ার সুযোগও হাতছাড়া হয়।
বিলেতে প্রত্যাবর্তন
যে ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়, সেখানেই ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। জো রুটদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে দুরন্ত ছন্দে ছিল টিম ইন্ডিয়া। পাঁচ টেস্টের সিরিজ ২-১ এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। তবে ম্যাঞ্চেস্টারে পঞ্চম তথা সিরিজের নির্ণায়ক টেস্টের আগে করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে স্থগিত হয়ে যায় ম্যাচ। আগামী বছর ১ জুলাই থেকে এজবাস্টনে হবে স্থগিত হয়ে যাওয়া সেই ম্যাচ।
দ্বীপরাষ্ট্রে অভিনবত্ব
বিরাট কোহলিরা যখন ইংল্যান্ডে, তখন আর একটি ভারতীয় দলকে পাঠানো হয়েছিল শ্রীলঙ্কা সফরে, ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে। যা এক কথায় বোর্ডের অভিনব সিদ্ধান্ত। কোচ হিসাবে গিয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। অধিনায়ক ছিলেন শিখর ধবন। ওয়ান ডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতে ভারত। তারপরই ভারতীয় শিবিরে হানা দেয় করোনা। আক্রান্ত হন ক্রুণাল পাণ্ড্য। আইসোলেশনে পাঠানো হয় সংস্পর্শে আসা আটজনকে। ভাঙাচোরা দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে যায় টিম ইন্ডিয়া।
মওকে পে চওকা
ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর সেখানে টিম ইন্ডিয়ার অভিযান শুরু পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে। ক্রিকেটপ্রেমীদের রোমাঞ্চিত হয়ে ওঠার মতো মঞ্চ তৈরিই ছিল। তবে অতিমারির ধাক্কায় টুর্নামেন্ট মরুদেশে স্থানান্তরিত হয়। সেই সঙ্গে যেন বদলে যায় বিশ্বকাপে ভারতের পাক-বধের মিথও। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সব ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ছিল ভারতের গর্ব। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হল উলটপুরাণ। ভারতকে হারিয়ে ‘মওকা’ কাজে লাগায় পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বে পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছেও হারতে হয় বিরাট ব্রিগেডকে। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় ঘটে ভারতের। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া।
শাস্ত্রী-যুগের পর দ্রাবিড় সভ্যতা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই জাতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রীর চুক্তির মেয়াদ ফুরোয়। নতুন কোচের জন্য আবেদনপত্র চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল বোর্ড। কোহলির সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলেও শাস্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি আর আবেদন করবেন না। তারপরই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। জানা যায়, কোচের পদে আবেদন করেছেন রাহুল দ্রাবিড়। তারপর থেকে কিংবদন্তির দায়িত্ব পাওয়া ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই জাতীয় দলের কোচ হন দ্রাবিড়। তাঁর পরিবর্তে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান হয়েছেন ভি ভি এস লক্ষ্মণ।
ঘরের মাঠে দাপট
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। সিনিয়র দলের কোচ হিসাবে রাহুল দ্রাবিড়ের পথ চলা শুরু। পাকাপাকিভাবে সীমিত ওভারের অধিনায়ক হিসাবে রোহিত শর্মারও প্রথম টুর্নামেন্ট। টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ হারায় ভারত। টেস্ট সিরিজেও দাপট দেখায় টিম ইন্ডিয়া। কিউয়িদের ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ জিতে নেয় ভারত।
কোহলি ও ক্যাপ্টেন্সি
আইপিএলের সময়ই কোহলি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক হিসাবে এটাই তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট। সেই সঙ্গে তিনি জানান যে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জাতীয় দলেরও নেতৃত্ব ছাড়বেন বিশ্বকাপের পরই। তিনি এও জানান যে, ওয়ান ডে ও টেস্টে তিনি ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন। শোনা যায়, ওয়ার্কলোড কমানোর জন্যই বিরাটের এই সিদ্ধান্ত। তাঁর পরিবর্তে প্রত্যাশামতোই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে এই ফর্ম্যাটের অধিনায়ক করা হয় রোহিত শর্মাকে। কিন্তু নাটকের তখনও বাকি ছিল। কারণ, বছরের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছেন কোহলিরা। আর সেই সফরের ওয়ান ডে সিরিজের দল ঘোষণা করার সময় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে জানানো হয় যে, টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ান ডে-তেও জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তিনি নিজে কোহলিকে টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব না ছাড়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু কোহলি না শোনায় নির্বাচকেরা চাননি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দুজন আলাদা নেতা রাখতে। সেই কারণে রোহিতকে ওয়ান ডেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে বোমা ফাটান কোহলি। সৌরভের দাবি নস্যাৎ করে জানান, তাঁর টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত বিনা বাক্যব্যায়ে গৃহীত হয়েছিল। তাঁকে সিদ্ধান্ত বদলের কোনও অনুরোধ করা হয়নি। কে সত্যি বলছেন, সৌরভ না কোহলি, তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় ভারতীয় ক্রিকেটে। বোর্ড যদিও আপাতত বিতর্কে ইতি টেনেছে। কোহলির মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
প্রোটিয়া-পরীক্ষা
বছরের শেষ লগ্নে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডে টেস্ট দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। তিনটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ান ডে খেলবে ভারত। কোচ দ্রাবিড়ের প্রশিক্ষণে প্রথম বিদেশ সফর। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে কঠিন পরীক্ষা কোহলি অ্যান্ড কোম্পানির।
বাংলার প্রাপ্তি!
দেশের ক্রিকেট মসনদে কিংবদন্তি বাঙালি। অথচ বাংলার ক্রিকেটে প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য। সাফল্যের হিসেব কষতে বসলে হাতে পড়ে থাকে শুধু পেন্সিল। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে বাংলাকে। লিস্ট এ ক্রিকেটে দেশের সেরা টুর্নামেন্ট বিজয় হাজারে ট্রফিতে আরও করুণ ছবি। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলা। এখন পাখির চোখ আসন্ন রঞ্জি ট্রফি। সামান্য প্রাপ্তি বলতে, ইডেনে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ২ বছর বন্ধ থাকার পর। ভারত-নিউজিল্যান্ড তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছিল ইডেনে। আর অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেয়েছেন বাংলার পেসার রবি কুমার। স্ট্যান্ড বাই হিসাবে আছেন অমৃত রাজ উপাধ্যায়। ভারতীয় এ দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও ঈশান পোড়েল। কিন্তু সিনিয়র জাতীয় দলে বাংলার তরুণ কাউকে কবে দেখা যাবে? তিন দশক কেটে গিয়েছে। রঞ্জি ট্রফি জয়ের অপেক্ষাই বা আর কত সুদীর্ঘ হবে? ট্রফি খরায় অবসন্ন বাঙালি ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে প্রশ্নগুলো জোরাল থেকে জোরালতর হচ্ছে।