Mars: রক্ত-ঘাম-চোখের জলে মঙ্গলে তৈরি হবে বাড়ি! নয়া আবিষ্কারে তাজ্জব বিশ্ব
চাঁদ ও মঙ্গলে সভ্যতার ইমারত তৈরি করতে ঘাম, রক্ত, চোখের জল দিয়ে ‘অ্যাস্ট্রোক্রিট’ নামে কংক্রিটের মতো পদার্থ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
নয়া দিল্লি: ঘাম ঝরানো কাজ, রক্তজল করা অর্থের বিনিময়ে মঙ্গলে মানব যাত্রার কাজ করে চলেছে নাসা। তবে এবার মঙ্গলগ্রহকে বাসযোগ্য করার জন্য ঘাম, চোখের জল, এবং রক্ত দিয়েই বানানো হচ্ছে বাড়িঘর তৈরির 'কংক্রিট'। ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী লালগ্রহে বসতি গড়ার এমনই উপায় বের করেছেন। চাঁদ ও মঙ্গলে সভ্যতার ইমারত তৈরি করতে ঘাম, রক্ত, চোখের জল দিয়ে ‘অ্যাস্ট্রোক্রিট’ নামে কংক্রিটের মতো পদার্থ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘মেটিরিয়্যালস টুডে বায়ো’–তে। তবে আমার, আপনার নয়! মহাকাশচারীদের রক্ত, ঘাম, অশ্রু ও প্রস্রাবের সঙ্গে মঙ্গলের ধুলো মিশিয়ে কংক্রিট তৈরি করা যেতে পারে। পৃথিবীর মতো ইট, বালি, চুন, সুরকি ও কংক্রিট দিয়ে মঙ্গলে স্থাপনা নির্মাণ সম্ভব নয়, তাই এই বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভেবেছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন, পৃথিবীতে থাকতে 'বোরিং' লাগছে? এক বছরের জন্য 'মঙ্গলে' থাকার সুযোগ দিচ্ছে নাসা
মানুষের রক্ত এবং সিন্থেটিক রেগোলিথ ব্যবহার করে এই উপাদান আবিষ্কার করেছেন ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে ইট-বালি-চুন সিমেন্ট বহন করা একদিকে যেমন ব্যয়সাপেক্ষ, আরেকদিকে বিপজ্জনকও। একটি ইট পাঠাতে সেখানে আনুমানিক খরচ হবে প্রায় ২০ লাখ মার্কিন ডলার। তাই রক্ত, ঘাম, অশ্রু ও প্রসাবের সঙ্গে মঙ্গলের ধুলো মিশিয়ে কংক্রিট তৈরি করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস এজেন্সি নাসা জানিয়েছে যারা মঙ্গলে যেতে আগ্রহী তাঁরা এখনই আবেদন করতে পারেন বলে জানিয়েছিল। সেখানে বলেছে, হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারে একটি থ্রিডি বাড়ি বানানো হয়েছে। যা আদতে মঙ্গলে বানানো হবে। সেই বাড়িতেই এক বছরের জন্য থাকতে পারবেন ইচ্ছুক আবেদনকারীরা। Mars Dune Alpha নামের ওই বাড়িতে থাকতে পারবেন।