Google Gemini AI: কী এই গুগল জেমিনি? নিমেষে সারবে আপনার কঠিন প্রোজেক্ট? রইল খুঁটিনাটি
Google Gemini Chatbot: গুগল জেমিনির সুবিধা কী কী? অসুবিধাই বা কী কী?
কলকাতা: প্রযুক্তির দুনিয়ায় এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা Artificial Intelligence. টিকিট বুকিং থেকে শুরু করে কোনও প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে শুরু করে বৈজ্ঞানিত অনুসন্ধান- সর্বত্র এখন AI ব্য়বহারের কাজ করা হচ্ছে বা তার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ-এ প্রায় সর্বত্র- মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্য়বহারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ইদানিং বহু চ্যাটবট টুল (Chatbot Tool) AI নির্ভর করা হচ্ছে। তেমনই একটি প্ল্যাটফর্ম Google Gemini
আগে ছিল Bard- এখন সেটাই নাম বদলে এবং আরও আধুনিক হয়ে Gemini. এই গুগল Gemini-এর ব্যানারে একাধিক প্রোডাক্ট রয়েছে। এক একটি tool এক একরকম কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। Google Deepmind- এর হাতে তৈরি জেমিনি আদতে একটি মাল্টিমোডাল লার্জ ল্যাঙ্গোয়েজ মডেল। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এর ঘোষণা হয়েছিল। OpenAI-এর চ্যাটজিপিটির প্রতিযোগী হিসেবেই একে তৈরি করা হয়েছে।
এই গুগল Gemini-এর একাধিক সুবিধা হয়েছে- সেগুলি কী কী?
মাল্টিমোডাল ক্ষমতা: টেক্সট, ছবি এবং আরও অনেক কিছু একসঙ্গে প্রক্রিয়া করার ক্ষমতা রয়েছে এর। বিভিন্ন ডোমেইন-এর এর কাজ সম্ভব। এবং শিল্পে Google এর উপযোগিতাকে প্রসারিত করে।
যুক্তি এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা: জেমিনি যুক্তির দক্ষতা প্রদর্শন করে। দ্রুত কোনও জটিল তথ্য বিশ্লেষণ এবং সমস্যা সমাধানের পরিস্থিতিতে এর ব্যবহার করা যায়।
আরও উন্নতি: গুগল AI-প্রোডাক্ট এটি। ফলে এখনও যে গবেষণা ও উন্নয়ন চলছে তার সরাসরি সুফল মিলবে Gemini-তে। যার কারণে এই দক্ষতা আরও বাড়তে পারে।
ইন্টিগ্রেশন: গুগলের অন্য় পরিষেবার বা Tool-এর সঙ্গে জুড়তে পারে Google Gemini. গুগল ইকোসিস্টেমের মধ্যে নির্বিঘ্নে কাজ সারা যায়।
সবকিছুরই কিছু খারাপ বা ভাল না লাগার মতো দিক থাকে। এরও রয়েছে।
সহজে প্রাপ্য নয়:
Google gemini-এর ব্যবহার খুশিমতো করা যায় না। তার জন্য টাকা দিয়ে কিনতে হয় সেই পরিষেবা, সেই দাম ভারতীয় বাজার অনুযায়ী এখনও অনেকটা বেশি। বিশেষ করে যদি ব্যক্তিগত স্তরে কেউ এর ব্যবহার করতে চান।
তথ্য বিভ্রান্তির আশঙ্কা রয়েছে:
যে কোনও AI-টুল কাজ করে মেশিন লার্নিংয়ের উপর দাঁড়িয়ে। অর্থাৎ যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে- তার ভিত্তিতেই ওই AI Tool তথ্য বিশ্লেষণ করবে। সেক্ষেত্রে যদি লার্নিংয়ের ক্ষেত্রে কোনও গলদ বা Biased data দেওয়া হয় তাহলে বিশ্লেষিত তথ্যের ক্ষেত্রেও ভুল বা Biasedness থেকে যেতে পারে। যে কোনও ল্যাঙ্গোয়েজ মডেলের ক্ষেত্রেই এই Bias দেখা যেতে পারে। Google Gemeini-এর বিরুদ্ধে কদিন আগেই এমন কিছু অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে বিবৃতিও প্রকাশ করেছিল গুগল।
সৃজনশীলতায় ধাক্কা:
অনেকেই মনে করে তথ্যগত ক্ষেত্রে যদি নির্ভুলও হওয়া যায়। AI-টুলের ক্ষেত্রে সৃজনশীলতায় সীমাবদ্ধতা থাকবেই। কোনও মানুষের বৌদ্ধিক স্তর, আবেগের উপর ভিত্তি করে যে সৃষ্টি হয়- সেই উচ্চতা এখনও পর্যন্ত ai-tool করতে পারবে না।
যদিও সহজে কাজ করার ক্ষেত্রে, নির্ভুল ভাবে এবং দ্রুত কোনও কাজের জন্য এখন সারা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে AI- এর চাহিদা।