Google Play Store: প্লে-স্টোর থেকে ১৬ লক্ষ অ্যাপ সরাল গুগল, কয়েক মাসেই ৪৭ শতাংশ কমল অ্যাপ; কারণ জানেন ?
Android Apps: আগে প্লে স্টোরে যে কোনও অ্যাপকেই অনুমোদন দিত গুগল। কিন্তু এই অবস্থা বদলে গিয়েছে ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে। এখন অ্যাপ স্টোরে অ্যাপের সংখ্যা ১.৮ মিলিয়ন।

Google Play Store Apps: গুগল প্লে-স্টোর যেন সাফাই অভিযান চলছে। কয়েক মাসের মধ্যেই এই অ্যাপ স্টোর থেকে ৪৭ শতাংশ অ্যাপ সরিয়ে দিয়েছে গুগল। ২০২৪ সালের শুরুতে গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপের (Android Apps) সংখ্যা ছিল ৩.৪ মিলিয়ন, সেখানে এখন এই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ১.৮ মিলিয়ন। অ্যাপফিগার্স-এর নতুন পরিসংখ্যান অনুসারে ৪৭ শতাংশ অ্যাপ (Google Play Store) সরানো হয়েছে এই কয়েক মাসে গুগল প্লে স্টোর থেকে। অন্যদিকে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে যদিও অ্যাপের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। ১.৬ মিলিয়ন থেকে এখন অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে অ্যাপের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১.৬৪ মিলিয়ন। অ্যান্ড্রয়েডে কী হয়েছে তাহলে ?
অ্যাপের গুণমান নিয়ে সতর্ক হচ্ছে গুগল
আগে প্লে স্টোরে যে কোনও অ্যাপকেই অনুমোদন দিত গুগল। কিন্তু এই অবস্থা বদলে গিয়েছে ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে। গুগলের নির্দেশে সেই সময় থেকে প্লে-স্টোর থেকে সেই সমস্ত অ্যাপ সরানো শুরু হল যেগুলির আদপে বিশেষ কাজ নেই এবং যেগুলি ভুয়ো। সিঙ্গল ওয়ালপেপার অ্যাপ, টেক্সট ওনলি অ্যাপ, প্লেসহোল্ডার অ্যাপ ইত্যাদি আদপে কোনও কাজই করত না। ফলে এখন থেকে যে সমস্ত অ্যাপ কোনও বাস্তবিক কাজ করবে না বা কোনও ভ্যালু দেবে না সেগুলিকেই সরিয়ে দেওয়া হবে প্লে স্টোর থেকে।
নিরাপত্তা অনেক বড় বিষয় এখন
তবে শুধু যে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ সরানো হয়েছে গুগল থেকে তা নয়, নিরাপত্তার দিকটিও ভেবে দেখছে গুগল। গুগল জানিয়েছে –
প্লে স্টোরে লঞ্চ হওয়ার আগেই ২.৩৬ মিলিয়ন বাজে অ্যাপ গুগল ব্লক করেছে।
১ লক্ষ ৫৮ হাজার সন্দেহজনক ডেভেলপার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মানুষের বিভিন্ন পর্যালোচনা, রিভিউর উপরে জোর দিয়েছে গুগল। এর সঙ্গে সঙ্গে ডেভেলপারদের জন্য আরও ভাল পরীক্ষা চালু করেছে, এআই থ্রেট ডিটেকশন পদ্ধতি চালু করেছে এবং এতে জোর দিয়েছে গুগল।
স্বচ্ছতার দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে
এই বছরে ইউরোপীয় বেশ কিছু নীতিতে বদল এসেছে। অ্যাপ লিস্টিংয়ের ক্ষেত্রে এবার থেকে ডেভেলপারদের নাম ও ঠিকানার উল্লেখ করতে হবে। গুগল যদিও সরাসরি এই বার্তা জানায়নি, কিন্তু এই নিয়মের কারণে বহু ডেভেলপার তাদের অ্যাপ সরাতে বাধ্য হয়েছেন। যারা নিজেদের জনসমক্ষে পরিচিত করতে চান না, তারা অ্যাপ লিস্টিং করাননি গুগল প্লে স্টোরে।
অ্যাপলও এই একই নিয়ম মেনে চলছে, কিন্তু অ্যাপলের প্লে স্টোরে অ্যা পের সংখ্যায় কোনো বদল আসেনি। কারণ অ্যাপলের ডেভেলপার পলিসি অনেক বেশি কঠোর আগে থেকেই ছিল। আরও নতুন অ্যাপ যুক্ত হচ্ছে প্লে স্টোরে। এই বছর ৭ শতাংশ নতুন অ্যাপ এসেছে প্লে-স্টোরে। এর অর্থ হল ডেভেলপাররা এখনও অ্যান্ড্রয়েডের জন্য অ্যাপ বানাচ্ছেন। কিন্তু স্টোরে এখন কোনও অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ নেই।























