Electric Cycle: ১০ টাকায় ৫০ কিলোমিটার ভ্রমণ! তাক লাগানো ইলেকট্রিক সাইকেল তৈরি দেশে
ইলেকট্রিক মোটর, ব্যাটারি কন্ট্রোলার এবং ব্রেক কাটার সুইচ ব্যবহার করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় চলবে এই আবিষ্কৃত যান।
কলকাতা: দেশে পেট্রোল-ডিজেলের দাম সেঞ্চুরি পেরোনোর পর থেকেই ওলা-উবার থেকে বাস, অটো ভাড়া বেড়েছে টিকিটের। খরচ বেড়েছে যাতায়াতে। এখন এই বাজারেই যদি শোনা যায় ৫০ কিলোমিটার ভ্রমণ করতে পারবেন মাত্র ১০ টাকায়, চোখ কপালে ওঠারই কথা! ভিত্তিহীন বলেও মনে হতে পারে।
কিন্তু এ তথ্য সত্যি। জ্বালানির জ্বালা জুড়োতে এবার অবাক করা ইলেকট্রিক সাইকেল তৈরি করলেন তামিলনাড়ুর ৩৩ বছর বয়সী এস ভাস্করন। যে যানে চেপেই ৫০ কিলোমিটারের সুদীর্ঘ পথ অতিক্রম করা যাবে তাও মাত্র ১০ টাকায়।
তামিলনাড়ুর ভিল্লুপুরমের পাকামেদু গ্রামের বাসিন্দা এস ভাস্করন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করেছেন। কোভিডে গত বছরই চাকরি হারিয়েছেন। অগত্যা আয়ের রাস্তা বাছতে কৃষিকাজেই মন দিয়েছিলেন। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র মাঠের বাইরে ব্যস্ত থাকতেন নানা রকমের ইলেকট্রিক স্কুটার ও সাইকেল তৈরি নিয়ে।
এরপর হঠাৎই একদিন মাথায় খেলে যায় উদ্ভাবনী চিন্তার ঝলক। ২ হাজার টাকায় কেনা নিজের পুরোনো সাইকেলকেই ইলেকট্রিক স্কুটারে বদলে দেওয়ার ভাবনা আসে ভাস্করনের।
ব্যস! যেমন ভাবা তেমন কাজ। প্রায় ১৮ হাজার টাকার যন্ত্রপাতি এবং সাইকেল পার্টস কিনে ফেলেন ভাস্করন। শুরু করে দেন ই-সাইকেল তৈরির কাজ। তবে তৈরির আগে নানা গবেষণাও করেন তিনি। এরপর এই ই-সাইকেলটি তৈরি করতে মোট খরচ হয় ২০ হাজার টাকা। যদিও এই সাইকেল তৈরিতে কোনও ভারী যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়নি।
নিজের তৈরি এই সাইকেল প্রসঙ্গে ভাস্করন বলেন যে, এই সাইকেলে একটি ইলেকট্রিক মোটর, ব্যাটারি কন্ট্রোলার এবং ব্রেক কাটার সুইচ ব্যবহার করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় চলবে এই নয়া আবিষ্কৃত যান।