৭টায় বাংলা (১): ইয়াস বিধ্বস্ত ওড়িশা-ঝাড়খণ্ড-পশ্চিমবঙ্গকে ১০০০ কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ মিটিংয়ে যোগ দিলেন না মুখ্যমন্ত্রীর। মোদির সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য পিএমও থেকে আলাদা সময় চাওয়ার পরেও কলাইকুণ্ডায় যাওয়ার পর অপেক্ষা করতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজ্যপাল ও শুভেন্দুকে নিয়ে মোদির রিভিউ বৈঠকের সময়েই মুখ্যসচিবকে নিয়ে ঘরে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই ইয়াসে ক্ষতির রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'তিনি এসে প্রধানমন্ত্রীকে একটা রিপোর্ট দিয়ে চলে গিয়েছেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলার মানুষের জন্য সাহায্য আদায় করে নেওয়ার দিন। এই পরিস্থিতিতে কোনও রকম রাজনৈতিক বিতর্কে আমি যাব না।' পরে ট্যুইটেও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ট্যুইটারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় জানিয়েছেন, "রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের পক্ষে সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। মুখ্যমন্ত্রী ও আধিকারিকদের বৈঠকে যোগ না দেওয়া আইন ও শাসন ব্যবস্থার পক্ষে মানানসই নয়।"
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের বিধ্বস্ত তিন রাজ্যের জন্য ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। ওড়িশাকে এখনই ৫০০ কোটি টাকা অর্থসাহায্য কেন্দ্রের পক্ষে করা হলেও বাকি দুই রাজ্যের ক্ষেত্রে অবশ্য তেমনটা হচ্ছে না। বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরই দুই রাজ্যকে দেওয়া হবে বাকি ৫০০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় দলের পক্ষ থেকে দুই রাজ্যের ইয়াস পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। কলাইকুণ্ডায় প্রশাসনিক বৈঠকের পর এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ইয়াসের দাপটে বিধ্বস্ত দিঘা। শুক্রবার দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৈঠক শেষে দিঘার সমুদ্র সৈকতে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পরে ধ্বংসের ছবি দিঘার মোহনায়। জলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে সব কিছু। সেখানে যাদের দোকান ছিল এখন রয়েছে শুধুই স্মৃতি। চারদিকে লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে রয়েছে ইট-কাঠ-পাথর। মোহনার যে বাজারে প্রতিদিন কোটি টাকার ব্যবসা হয় তা মুখ থুবড়ে পড়েছে।