SSCCase:স্কুলে স্কুলে শিক্ষক-সঙ্কট,কোথাও ক্লাস নিলেন অবসরপ্রাপ্তরা,কোথাও পরীক্ষায় গার্ড প্রাক্তনীরা!
ABP Ananda Live: সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার পর বিরোধীরা আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিল, যে এবার হয়তো পুলিশের মতো সিভিক শিক্ষকও নেওয়া হবে। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, হলও ঠিক তাই! মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান বালিকা বিদ্যালয়ে, ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। এখানে শিক্ষিকা ছিলেন সাতাশ জন, এদের মধ্যে আঠারো জনেরই চাকরি চলে গেছে। এই পরিস্থিতিতে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই স্কুলের ছ'জন প্রাক্তনীকে শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। সপ্তাহে ছ'দিন স্কুলে গেলে মাসে তাঁরা পাবেন ছ'হাজার টাকা। শিক্ষকদের চাকরি চলে যাওয়ায় রাজ্য়ের বহু স্কুলেই দেখা দিয়েছে সঙ্কট।
রাত কাটছে শহিদ মিনার চত্বরে, মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পরেও স্কুলে স্বেচ্ছাশ্রমে চাকরিহারারা
মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) অনুরোধ সাড়া দিয়ে স্কুলে গেলেন না চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠকে যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান এবং তাঁদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্পষ্ট দিশা না মেলায় আগামীদিনে আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিচ্যুতরা। দুর্নীতির কথা এড়িয়ে কেন অযোগ্যদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
স্কুলে গেলেন না চাকরিহারারা: স্বেচ্ছাশ্রমের আবেদনে সাড়া মিলল না। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পরেও স্কুলমুখী হচ্ছেন না চাকরিহারারা। আরও একটা রাত কাটালেন শহিদ মিনার চত্বরে খোলা আকাশের নীচে। উগরে দিলেন ক্ষোভ। চাকরিহারা চিন্ময় মণ্ডল বলেন, "আমরা চরমপন্থী আন্দোলনের দিকে যাচ্ছি। স্কুলে তো আমরা যাবই না। প্রথমত, মিরর ইমেজ আপনারা কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন, কোথায় আছে, খুঁজে বার করুন, প্রোডিউস করুন যে কোনও মূল্যে। দুই নম্বর, যোগ্য-অযোগ্যের লিস্ট আলাদা করে, সার্টিফায়েড করুক SSC, এটা সুুপ্রিম কোর্টের দায়িত্ব নয়, এটা SSC’র দায়িত্ব আলাদা করা। তৃতীয়ত, আমরা আর কোনও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করব না। কারণ, এটা আমাদের কাছে অসম্মানজনক, আমাদের কাছে ভলান্টারি সার্ভিস দেওয়া অসম্মানজনক।

















