আজ, রবিবার নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে বিজেপি (BJP Manifesto)। আর এই ইস্তেহার প্রকাশের পর বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র সৌগত রায়। এদিন সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৌগত বলেন, বিজেপির ইস্তেহারে যা আছে তার বেশিরভাগই জুমলা, বাংলার মানুষ বিজেপির ইস্তেহারকে প্রত্যাখ্যান করবে।
তাঁর প্রশ্ন, অসম, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতে মহিলাদের কী সুরক্ষা ব্যবস্থা করেছে বিজেপি? উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতে মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে চালু হল না কেন? তিনি বলেন, কন্যাশ্রী প্রকল্প রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রশংসিত হয়েছে। বিজেপির সবকিছুই জুমলা। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, তৃণমূলের অনুকরণ করে অন্নপূর্ণা ক্যান্টিন চালু করছে বিজেপি। তৃণমূলকে অনুকরণ করেই বিজেপির পুরহিত কল্যাণ প্রকল্প। ইস্তেহারে তৃণমূল কৃষকদের ১০ হাজার টাকা অনুদানের কথা বলেছে। পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ টাকা ক্রেডিট লিমিট চালু হবে। প্রতি পরিবারের আয় সুনিশ্চিত করা হবে।
অমিত শাহ বাংলার জন্য বাংলায় ঘোষণা করতে পারলেন না বলও আক্রমণ করেছেন সৌগত রায়। একইসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসাথীর সমান্তরাল কোনও প্রতিশ্রুতি বিজেপির নেই। বিজেপির আয়ুষ্মান ভারত ১ কোটি মানুষকে সুবিধা দিচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বাংলার ১০ কোটি মানুষই সুবিধা পাবে। ৭ বছর ক্ষমতায় থেকেও কেন অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পারল না বিজেপি? সেই প্রশ্নও করেছেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের হাতেই তো বিএসএফ।
পাখির বিধানসভা নির্বাচনের দিকে। ক্ষমতায় আসতে মরিয়া সব পক্ষই। এদিন নির্বাচন ইস্তেহার প্রকাশ করে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ইস্তেহার প্রকাশ করেন। বিজেপি-র ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কিষাণ সম্মান নিধিতে বকেয়া ১৮ হাজার টাকা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার। তারপর বছরে ১০ হাজার টাকা প্রতিবছর দেওয়া হবে। মৎস্যজীবীদের বছরে ৬ হাজার টাকা অনুদান। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের প্রত্যেক গরিবকে আনা হবে। অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হবে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৫ টাকায় ৩ বেলার আহারের ব্যবস্থা হবে। একইসঙ্গে মহিলাদের জন্য একাধিক ঘোষণা করা হয়েছে ইস্তেহারে। বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারি চাকরিতে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ। কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত মহিলাদের পঠনপাঠন বিনামূল্যে। সরকারি বাসে মহিলাদের যাতায়াত বিনামূল্যে। মহিলাদের সুরক্ষায় পুলিশে পৃথক ব্যাটেলিয়ন চালু হবে। বিধবাদের পেনশন ১ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার করা হবে।