(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Narada Case Hearing: '৭ বছর ধরে আপনারা গ্রেফতার করার প্রয়োজন বোধ করলেন না কেন?' সলিসিটর জেনারেলকে প্রশ্ন ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের
নারদা মামলায় (Narada Scam) আজ কলকাতা হাইকোর্টে শুরু হয়েছে শুনানি। হেভিওয়েটদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙভি সওয়াল করেন প্রথমে। তিনি বিচারপতিদের কাছে আবেদন রেখে বলেন, "সিবিআইয়ের এই ভূমিকা আগে দেখা যায়নি, যা ইচ্ছে করছে।" অন্যদিকে হাইকোর্টে পাল্টা সওয়াল সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার। তিনি বলেন, "রাজ্য প্রশাসনের এই ভূমিকাও আগে দেখা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে ধর্না দিচ্ছেন, ঘেরাও করছেন, হুমকি দিচ্ছেন। মন্ত্রীরা গিয়ে বসে আছেন, এরকম দেখা যায়নি। এটা চলতে দিলে অন্য জায়গাতেও একই দৃষ্টান্ত তৈরি হবে।" সলিসিটর জেনারেলকে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, "সুপ্রিম কোর্ট এখনও মামলা গ্রহণ করেনি। আমরা শুনানি শুরু করলে আপনাদের অধিকার কীভাবে খর্ব হবে?" সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, "অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর, তাই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছি। এখন হাইকোর্ট যা বলবে, তাই মেনে নেব।" "আগে আমাদের বিষয়টি বুঝে নিতে দিন।" মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের। "আপনারা সোমবার যে আবেদন করেছিলেন, সেখানে বলা হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্র-সহ অন্যান্য নেতারা বাধার সৃষ্টি করছে। তাই আদালত হস্তক্ষেপ করেছে।" সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতাকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি সৌমেন সেন। তিনি বলেন, "৪০৭ ধারায় জামিন স্থগিত করা যেতে পারে কি না সেটাও বিচার্য'। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়ার অবস্থা জানতে চান। সলিসিটর জেনারেল জানান, "অনলাইনে চার্জশিট পেশ করা হয়ে গেছে। অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, "আমরা গ্রিন করিডর করে আদালত নিয়ে এসেছিলাম। এবার তাঁদের ইচ্ছা, তাঁরা কীভাবে চার্জশিট পেশ করবেন।" বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে প্রশ্ন করেন, "২০১৩ সালে মামলা শুরু হয়েছে। সাত বছর ধরে আপনারা গ্রেফতার করার প্রয়োজন বোধ করলেন না? গ্রেফতার করার পর তাঁরা যখন জামিন পেলেন তখন সেটাকে আপনারা খারিজ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।"