Guru Purnima 2023 : গুরু পূর্ণিমায় কী করলে শিক্ষা-চাকরি-ব্যবসায় সুনিশ্চিত উন্নতি ?
Guru Purnima Update : গুরু শব্দের মানে হল যিনি অন্ধকার দূর করেন। নতুন পথের দিশা দেখান। তমসা থেকে জ্যোতির্ময়ের পথে চালিত করেন।
Guru Purnima 2023: গুরু পূর্ণিমা ( Guru Purnima ) এই বছর পালিত হবে ৩ জুলাই। শাস্ত্র অনুসারে, গুরু পূর্ণিমায় কিছু রীতি পালন করলে কুণ্ডলীতে বৃহস্পতি গ্রহ শক্তিশালী হয়, যার ফলে চাকরি ও ব্যবসার বাধা দূর হয়। গুরু পূর্ণিমায় বৃহস্পতি গ্রহের শুভ-যোগ পেতে, ভগবান বিষ্ণুর পুজো করুন।
গুরুপূর্ণিমায় ভগবান বিষ্ণুকে হলুদ বস্ত্র অর্পণ করুন। বাড়ির কাছে কলা গাছে প্রদীপ জ্বালান। বিশ্বাস করা হয়, এই রীতি পালন করলে বৃহস্পতি শক্তিশালী হয় এবং চাকরির সমস্যা দূর হয়।
কর্মজীবনে অগ্রগতির জন্য, গুরু পূর্ণিমার দিন, আপনার বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠায় লাল কালি দিয়ে একটি স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে নিন। তারপরে আপনার ইচ্ছা লিখে মা সরস্বতীর কাছে সেই খাতাটি নিবেদন করুন। মা সরস্বতী জ্ঞানের দেবী । তাঁকে তুষ্ট করলেই হবে শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে হবে উন্নতি।
গুরু পূর্ণিমার দিনে গুরু যন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলে সারা জীবন সৌভাগ্য ভোগ করা যায়। প্রতিটি কাজ সুসম্পন্ন হয়, কর্মক্ষেত্রে সাফল্য অর্জিত হয়।
যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত, উচ্চশিক্ষা লাভে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন, তাঁদের গুরু পূর্ণিমার দিনে গীতা পাঠের পর কিছুক্ষণ গরুর সেবা করা উচিত বলে মনে করেন অনেকে । সকলে এর সুফল পাবেন।
যাঁদের ব্যবসা ধীর গতিতে চলছে, কঠোর পরিশ্রমের পরেও পরিকল্পনা ব্যর্থ হচ্ছে, তাঁরাও গুরু পূর্ণিমায় ঠিক রীতিতে পুজো করে উপকার পেতে পারেন। হলুদ শস্য যেমন তুর ডাল, হলুদ রঙের মিষ্টি দান করতে পারেন অভাবী ব্যক্তিকে। অনেকে মনে করেন, এর ফলে ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে চারগুণ।
শাস্ত্রমতে বেদব্যাসকে হিন্দু ধর্মে বিশ্বের গুরু হিসেবে দেখা হয়। কথিত রয়েছে নিজের পাঁচ শিষ্যকে নিয়ে গুরু শিষ্যের সম্পর্ক অটুট রাখতে গুরু পূর্ণিমার প্রচলন করেছিলেন ব্যাসদেব। সংস্কৃতে ‘গূ‘ শব্দের অর্থ হল অন্ধকার। গুরু শব্দের মানে হল যিনি অন্ধকার দূর করেন। নতুন পথের দিশা দেখান। তমসা থেকে জ্যোতির্ময়ের পথে চালিত করেন। একটি শ্লোকের মাধ্যমে গুরুপূর্ণিমাতে শ্রী গুরুকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনও করা হয়। তা হল- ‘গুরুর্ব্রহ্মা গুরুর্বিষ্ণু গুরুর্দেবো মহেশ্বর/ গুরুরেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ’। অর্থাৎ জীবনে গুরুই হলেন ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। তিনিই আমাদের সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের জ্ঞান বা পরম ব্রহ্মজ্ঞান দান করেন। সেই গুরুর উদ্দেশে প্রণাম জানাই।