Jane Street Case: ৪.৩ কোটির প্যাকেজে IIT-পড়ুয়াকে চাকরি দিয়েছিল, এখন ৪৮৪৩ কোটির জালিয়াতিতে নিষিদ্ধ সেই সংস্থাই
Jane Street Banned: জেন স্ট্রিট সংস্থা ভারতে তাদের সহযোগী সংস্থাগুলির মাধ্যমে পরিচালনা করে থাকে কার্যক্রম যেমন – জেএসআই ইনভেস্টমেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড, জেএসআই ২ ইনভেস্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ইত্যাদি।

Jane Street Banned: আন্তর্জাতিক ট্রেডিং ফার্ম জেন স্ট্রিট গ্রুপ এলএলসিকে সম্প্রতি নিষিদ্ধ করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া। অভিযোগ উঠেছে ভারতের বাজারে ডেরিভেটিভ সেগমেন্ট বিরাট বড় মাপের ম্যানিপুলেশনের (Jane Street Case) মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি করেছে এই সংস্থা। অ্যালগো ট্রেডিং পদ্ধতিতে অবৈধ উপায়ে ভারতের বাজার থেকে আয় করেছে এই সংস্থা, যেখানে কয়েক মাস আগেই ৪.৩ কোটি টাকার প্যাকেজে এক আইআইটি পড়ুয়া চাকরি পেয়েছিল। আইআইটি মাদ্রাজ থেকে রেকর্ড বেতনে (Jane Street Banned) এই চাকরি পেয়েছিল সেই পড়ুয়া।
বিগত আইআইটি মাদ্রাজের প্লেসমেন্টে জেন স্ট্রিট সংস্থার প্রি-প্লেসমেন্ট অফারেই শিরোনামে উঠে এসেছিল এই সংস্থা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সেই সিজনে সর্বোচ্চ প্যাকেজের চাকরি দিয়েছিল এই জেন স্ট্রিট ট্রেডিং ফার্ম। জেন স্ট্রিট সংস্থার উচ্চ ক্ষমতার ট্রেডিং পরিবেশ, ম্যাথমেটিক্যাল প্রোগ্রামিং আর রিয়েল টাইম সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম উন্নত দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রয়োজনের নিরিখেই এই রেকর্ড প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
জেন স্ট্রিটের সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়ায় প্রায়ই পরিমাণগত সমস্যার সমাধান, কোডিং চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাব্যতা ধাঁধার একাধিক রাউন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে। এগুলোর লক্ষ্যই থাকে মানসিক তৎপরতা পরীক্ষা করা। জেন স্ট্রিট সংস্থা বিশ্বব্যাপী তাঁর লাভজনক আকর্ষণীয় বেতন এবং কঠোর নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য সুপরিচিত ছিল এতদিন। এই ফার্ম নিয়মিতভাবে আইভি লিগ, এমআইটি, হার্ভার্ড, কেমব্রিজ, অক্সফোর্ড, স্ট্যানফোর্ড, ও প্রিন্সটন সহ শীর্ষ স্তরের বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে প্রার্থী নিয়োগ করে থাকে। আর এদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারতের পড়ুয়ারাই পড়তে আসে।
তদন্তে জানা গিয়েছে যে জেন স্ট্রিট সংস্থা ভারতে তাদের সহযোগী সংস্থাগুলির মাধ্যমে পরিচালনা করে থাকে কার্যক্রম যেমন – জেএসআই ইনভেস্টমেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড, জেএসআই ২ ইনভেস্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ইত্যাদি। ভারতের বাজারে কোয়ান্টিটেটিভ ট্রেডিং কৌশলের সঙ্গে জড়িত থাকা সত্ত্বেও এই সংস্থা খুবই লো প্রোফাইল বজায় রেখেছিল। তবে ৩ জুলাই এই সংস্থার বিরুদ্ধে ১০৫ পাতার একটি নির্দেশিকা জারি করে সংস্থাকে ভারতের বাজার থেকে নিষিদ্ধ করেছে সেবি। জানা গিয়েছে এই সংস্থা ভারতের বাজারে অপশন ট্রেডিংয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ৪৮৪৩ কোটি টাকা অবৈধ উপার্জন করেছে।
( মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়।কোনও শেয়ার সম্পর্কে আমরা কল বা টিপ দিই না।)





















