LayOff: পরপর তিনবার ! ব্যবসা ঢেলে সাজাতে ফের ২৫০ কর্মীকে ছাঁটাই করল এই সংস্থা
Unacademy Layoff: একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে কর্মী ছাঁটাইয়ের সূত্র ধরে আনঅ্যাকাডেমি জানিয়েছে তাদের সংস্থা থেকে ২৫০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এর আগেও ২০২২ ও ২০২৩ সালে কর্মী ছাঁটাই করেছিল সংস্থা।
Edtech Crisis: ভারতের এডটেক সেক্টরের (Unacademy Layoff) অবস্থা এখন বেশ খারাপ। দেশের স্টার্টআপগুলির মধ্যে সবথেকে নেতৃত্বস্থানীয় স্তরে ছিল যে সমস্ত সংস্থা, তাদের বেশিরভাগই এখন সঙ্কটে। বাইজু'স সংস্থা প্রথমে আর্থিক সঙ্কটে পড়ে দেউলিয়া হয়ে যায়, এখনও বাইজু নিয়ে সমস্যা কাটেনি। এরপরে চর্চায় উঠে এল আন অ্যাকাডেমি সংস্থা। এই সংস্থাতেও খারাপ খবর (Layoff News)। ২৫০ কর্মীকে ছাঁটাই করল আনঅ্যাকাডেমি।
২৫০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে সংস্থা
এডটেক স্টার্টআপ সংস্থা আনঅ্যাকাডেমি (Unacademy Layoff) আবারও একবার কর্মী ছাঁটাই করেছে। একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে কর্মী ছাঁটাইয়ের সূত্র ধরে আনঅ্যাকাডেমি জানিয়েছে তাদের সংস্থা থেকে ২৫০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তবে এই কর্মী ছাঁটাই এবার একটি চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে, কারণ এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও পরপর দুবার কর্মী ছাঁটাই করেছে আন অ্যাকাডেমি।
এই কর্মীরা বিপাকে
এই প্রতিবেদন অনুসারে, আনঅ্যাকাডেমি (Unacademy Layoff) যে সমস্ত কর্মীকে ছাঁটাই করেছে, তাদের মধ্যে ১০০ জন কর্মী কোর টিম যেমন বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিং টিমের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও সেলস বিভাগের বেশ কিছু কর্মীকেও ছাঁটাই করা হয়েছে। এছাড়া আনঅ্যাকাডেমি নিজেও এই কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে স্বীকার করে নিয়েছে এবং একটি বিবৃতি দিয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই সংস্থা তাঁর ব্যবসায়িক দক্ষতাকে আরও বেশিমাত্রায় বাড়িয়ে তুলতে চায়, এমনকী এটি তাঁর অপারেশনকে স্ট্রিমলাইন করতে চায়। আর এই কর্মী ছাঁটাই এই পরিকল্পনারই একটি অঙ্গ বিশেষ।
এর আগেও ২ বার কর্মী ছাঁটাই করেছে সংস্থা
এর আগে ২০২২ ও ২০২৩ সালেও কর্মী ছাঁটাই করেছে আনঅ্যাকাডেমি। আজ থেকে ২ বছর আগে ২০২২ সালে এই সংস্থা প্রথম কর্মী ছাঁটাই করে, সেবারে ১০০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছিল। সেখানে চুক্তিভিত্তিক কর্মীও যেমন ছিলেন, স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীও ছিলেন। এরপর ২০২৩ সালের মার্চ মাসে এই সংস্থা দ্বিতীয়বারের মত ৩৮০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করে।
কোভিডের পরেই বদলাতে থাকে অবস্থা
কোভিড চলাকালীন অনলাইনে পড়াশোনার একটা বিপুল চাহিদা তৈরি হয়েছিল। আর সেই ঢেউতে গা ভাসিয়ে বহু এডটেক সংস্থা উঠে এসেছিল। এমনকী কিছু কিছু তাঁর মধ্যে বিপুল সমৃদ্ধ হয়েছে। বাইজুস এদের মধ্যে অন্যতম। এই কোভিডকালীন সময়ের মধ্যে বাইজু দেশের মধ্যে সবথেকে বড় এডটেক সংস্থা হয়ে ওঠে। সবথেকে বেশি মূল্যের স্টার্টআপ সংস্থা ছিল বাইজুস। আর এখন সেই বাইজু'স সংস্থাই দেনার দায়ে ডুবে আছে। আর্থিক সঙ্কটে সংস্থা বন্ধ হবার জোগাড়। কর্মীদের সময়ে বেতনও দিতে পারছে না সেই সংস্থা।
আরও পড়ুন: IPO Listing: ৩ দিনেই ৭১৫ গুণ সাবস্ক্রিপশন ! বিনিয়োগকারীদের নজরে কলকাতার এই সংস্থার আইপিও