Maruti Suzuki Celerio: নতুন সেলেরিওতে বড় পরিবর্তন ! নভেম্বরে কী আনছে মারুতি ?
New Maruti Suzuki Celerio : সাদামাটা গ্রিলের পরিবর্তে আধুনিক করা হচ্ছে হ্যাচব্যাকের ফ্রন্ট ফেস। দীপাবলিতেই বেশ কয়েকটি গাড়ি লঞ্চ করার কথা রয়েছে মারুতির ।
নয়াদিল্লি: বদলে যাচ্ছে চেহারা। নতুন মারুতি সুজুকি সেলরিওর(Maruti Suzuki Celerio) ডিজাইন ল্যাঙ্গোয়েজে চমক দিচ্ছে মারুতি। সাদামাটা গ্রিলের পরিবর্তে আধুনিক করা হচ্ছে হ্যাচব্যাকের ফ্রন্ট ফেস। প্রতিযোগিতার বাজার ধরতে শোনা যাচ্ছে, গাড়িতে বেশকিছু ক্রোম অ্যাকসেন্ট দিতে চলেছে কোম্পানি।
দীপাবলির মরসুমে বেশ কয়েকটি গাড়ি লঞ্চ করার কথা রয়েছে মারুতির । সেখানে সবার আগে নাম রয়েছে সেলিরিওর। কোম্পানি জানিয়েছে, শীঘ্রই নেক্সার মারুতি S-cross বাজারে আনবে কোম্পানি। ইতিমধ্যেই তার ট্রেলার ছেড়েছে দেশের বৃহত্তম গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি। আসতে পারে মারুতি সুজুকি জিমনি। এবার ভারতে আসতে পারে সেই কমপ্যাক্ট জিপসি। বছরের শুরুতেই দেশের বাজারে আসার কথা ছিল সেলেরিওর। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে এর লঞ্চ স্থগিত করতে হয়। এবার ১০ নভেম্বর দেশের বাজারে লঞ্চ হতে পারে এই গাড়ি।
কাদের সঙ্গে হবে লড়াই ?
একবার ভারতের বাজারে লঞ্চ হলে Hyundai Santro, Tata Tiago ও Datsun Go-এর সঙ্গে লড়াই হবে মারুতি সেলেরিওর। অতীতে মারুতির এই গাড়ি খুব একটা ভাল মার্কেট ধরতে পারেনি। অন্য সেগমেন্টে কোম্পানির গাড়ি এগিয়ে গেলেও বিক্রির হিসেবে পিছিয়ে পড়েছে এই গাড়ি। তাই নতুন করে এই গাড়ি নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে কোম্পানি।
New Maruti Suzuki Celerio
আগে গাড়ির সামনে ছিল দুটো ক্রোম লাইন। এবার ফ্রন্টে বাড়তে পারে সেই সংখ্যা। অথবা সিঙ্গল ক্রোম গ্রিলস দিতে পারে মারুতি।কোম্পানি সেলেরিওতে পুরানো প্ল্যাটফর্ম বদলে নতুন হার্টেক প্ল্যাটফর্ম আর্কিটেকচার ব্যবহার করেছে। মারুতি সুজুকি তার অনেক গাড়িতে এই নতুন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছে।
'YNC' কোড নেমে শুরু হয়েছে প্রোডাকশন
নতুন সেলেরিওর কোডনাম দেওয়া হয়েছে 'YNC'। নতুন মডেলের ভিতরে বেশকিছু পরিবর্তন করেছে কোম্পানি। হ্যাচব্যাকে অ্যাপল কার প্লে এবং অ্যান্ড্রয়েড অটো সাপোর্ট-সহ ৭ ইঞ্চি স্মার্ট প্লে ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম থাকবে। এর সঙ্গে গাড়ির ড্যাশবোর্ড, স্টিয়ারিং হুইল এবং সেন্টার কনসোলও আপডেট করা হচ্ছে। ডুয়েল টোন ইন্টিরিয়র দেওয়া হতে পারে গাড়িতে।
গাড়ির ডিজাইন ল্যাঙ্গোয়োজ ও নতুন ফিচার
নতুন সেলেরিওতে স্বয়ংক্রিয় ক্লাইমেট কন্ট্রোল ছাড়াও রয়েছে স্টিয়ারিং মাউন্টেড একাধিক কন্ট্রোল ফিচার। সঙ্গে থাকছে দুর্দান্ত কিছু ফিচার। এই গাড়িতে ডুয়েল ফ্রন্ট এয়ারব্যাগ সুরক্ষা ও সিটবেল্ট রিমাইন্ডার থাকছে। গাড়ির সুরক্ষার জন্য ইলেকট্রনিক ব্রেক-ফোর্স ডিস্ট্রিবিউশন, রিভার্স ক্যামেরা এবং রেয়ার পার্কিং সেন্সর সহ অ্যান্টি-ব্রেক লকিং সিস্টেমের মতো বৈশিষ্ট্যও পাওয়া যাবে। গাড়ির এক্সটিরিয়ারেও অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। গাড়িটিতে একটি নতুন ডিজাইন করা ছোট ফ্রন্ট গ্রিল ও এয়ার ড্যাম, হ্যালোজেন হেডল্যাম্পস, টেইল ল্যাম্পস, নতুন ডোর হ্যান্ডেল ও আপডেটেড রেয়ার বাম্পার দেওয়া হয়েছে। নতুন সেলেরিও বেশি বড়, লম্বা ও পুরোনোটির চেয়ে অনেক বেশি জায়গা সম্পন্ন হবে।