Income Tax Bill: করদাতাদের ইমেল, সমাজমাধ্যমেও উঁকি দিতে পারেন আয়কর আধিকারিকরা ! নতুন কর আইন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে
New Income Tax Bill: এই নয়া আইনে 'ভার্চুয়াল ডিজিটাল স্পেস' বলে একটি শব্দবন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইমেল, সমাজমাধ্যম, ইনভেস্টমেন্ট অ্যাকাউন্ট, ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি।

Income Tax: একটি নতুন আয়কর আইন পাশ করতে চলেছে কেন্দ্র যা কিনা পুরনো আইনকে আরও সহজতর করে তুলবে এবং ভাষাগত জটিলতার সমস্যা দূর করবে। এই খবর আগেই জানা গিয়েছিল, কিন্তু আরও একবার এই নয়া আয়কর আইনের একটি ধারা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। এই নয়া আয়কর আইনের একটি ধারায় বলা হয়েছে যে আয়কর আধিকারিকরা চাইলে করদাতাদের ডিজিটাল রেকর্ড যেমন ইমেল, সমাজমাধ্যম, এমনকী হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেও উঁকি দিতে পারেন যদি তাদের মনে হয় কোনও করদাতার কাছে অবৈধভাবে ক্রিপ্টো মুদ্রা রয়েছে। তবে সূত্র বলছে যে এই নিয়ম কেবলমাত্র তখনই কার্যকর হবে যদি কোনও করদাতার ক্ষেত্রে আয়কর সংক্রান্ত অনিয়ম নজরে আসে দফতরের।
১৯৬১ সালের পুরনো আয়কর আইনের বদলে এবার দেশে কার্যকর হতে চলেছে এই নয়া আয়কর আইন। আর এই নতুন আইনে আয়কর আধিকারিকদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যাতে তারা চাইলে করদাতাদের কম্পিউটার সিস্টেম, ভার্চুয়াল ডিজিটাল স্পেস অর্থাৎ সমাজমাধ্যম, অনলাইন ট্রেডিং ও ইনভেস্টমেন্ট অ্যাকাউন্ট, ক্লাউড সার্ভারেও তল্লাশি চালাতে পারেন এবং প্রয়োজনে লুকোনো সম্পদ খোঁজা এবং বাজেয়াপ্ত করাও হতে পারে। তবে এই ক্ষমতা কেবল থাকবে জয়েন্ট কমিশনার বা তদুর্ধ্ব পদাধিকারীদের ক্ষেত্রে।
এই নয়া আইনে 'ভার্চুয়াল ডিজিটাল স্পেস' বলে একটি শব্দবন্ধ উল্লিখিত হয়েছে অনুসন্ধান এবং বাজেয়াপ্ত করার প্রসঙ্গে। এই আইন মতে, এই ভার্চুয়াল ডিজিটাল স্পেস হল এমন সমস্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যা ব্যক্তিকে সংযোগস্থাপন, কথাবার্তা বলা এবং কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার মাধ্যমে সম্পাদিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ইমেল সার্ভার, সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট, অনলাইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাকাউন্ট, ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট, ব্যাঙ্কিং অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি। এই সমস্ত ওয়েবসাইটে আপনার জমানো সম্পদের তথ্য বিবরণ পাওয়া যাবে। রিমোট সার্ভার বা ক্লাউড সার্ভার কিংবা কোনও ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশনও খুঁজে দেখতে পারবেন আয়কর আধিকারিকরা।
দেশে যেহেতু ধীরে ধীরে ক্রিপ্টোর বিনিয়োগ বা ট্রেডিং হার বাড়ছে, তাই কর ফাঁকির ঘটনা এড়াতেই এই উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্র, এমনটাই বলা হচ্ছে। সাধারণত ক্রিপ্টো মুদ্রায় মুনাফার উপরে ৩০ শতাংশ ফ্ল্যাট কর প্রযুক্ত রয়েছে, আর তার সঙ্গে ১ শতাংশ টিডিএসও দিতে হয় গ্রাহককে। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হেমন্ত আর জানিয়েছেন যে এই ধারাগুলি কোনও নতুন কথা নয়। এগুলি আসলে পুরনো আইনের ধারারই পরিমার্জিত এবং সহজতর রূপ। আইনে এখনও রয়েছে যে আয়কর আধিকারিকরা চাইলে করদাতার ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড অনুসন্ধান করতে পারেন। তবে এবার এই ধারায় যোগ হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির উল্লেখ।

























