RBI Dividend : ইতিহাস গড়ল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সরকার পাবে বিপুল অর্থ
Reserve Bank Of India : কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সরকারকে ২.৬৯ লক্ষ কোটি টাকার ডিভিডেন্ড দেবে ব্যাঙ্ক।

Reserve Bank Of India : মোদি সরকারের জন্য সুখবর। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দিয়েছে নতুন আপডেট। যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সরকারকে ২.৬৯ লক্ষ কোটি টাকার ডিভিডেন্ড দেবে ব্যাঙ্ক। পরিসংখ্যান বলছে, এটি সরকারের প্রাপ্ত বৃহত্তম সারপ্লাস ট্রান্সফার। এর আগে, ২০২৩-২৪ সালে আরবিআই সরকারকে ২.১ লক্ষ কোটি টাকা ও ২০২২-২৩ সালে ৮৭,৪২০ কোটি টাকা পাঠিয়েছিল।
সরকার এত টাকা কেন পেল ?
আরবিআই এবার বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদ থেকে ভালো পরিমাণ আয় করেছে। এর পাশাপাশি ব্যাঙ্ক ভিআরআর (ভেরিয়েবল রেট রিভার্স রেপো) ও বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রয় থেকেও বিপুল মুনাফা করেছে। শুধু তাই নয়, গত অর্থবছরে সুদের হারের ওঠানামাও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আয় বৃদ্ধি করেছে।
Reserve Bank Of India : এতে সরকারের লাভ কী ?
সরকার চলতি বছর আরবিআই, পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু শুধুমাত্র আরবিআই থেকে ২.৬৯ লক্ষ কোটি টাকা পাওয়া সরকারের জন্য বোনাসের মতো। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি সরকারকে অতিরিক্ত ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ কোটি টাকা সাহায্য করতে পারে। তবে, এতে রাজস্ব ঘাটতির ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আসবে না। অনুমান করা হচ্ছে যে ঘাটতি ৪.৪ শতাংশ থেকে সামান্য কমে ৪.৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে।
সিআরবি কী ও কেন এটি বাড়ানো হয়েছিল ?
আরবিআইয়ের ব্যালেন্স শিট নিরাপদ রাখার জন্য একটি কন্টিনজেন্ট রিস্ক বাফার (সিআরবি) তৈরি করা হয়। এটিকে এক ধরনের 'নিরাপত্তা ঢাল' হিসেবে বিবেচনা করুন, যা যেকোনো অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করে। আগে এটি ৬.৫ শতাংশে ছিল, কিন্তু এখন এটি ৭.৫ শতাংশে বৃদ্ধি করা হয়েছে। অর্থাৎ, আরবিআই তার ব্যালেন্স শিটকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আরও মূলধন নিরাপদ রেখেছে। ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
Reserve Bank Of India : এরপর কী হবে ?
আরবিআইয়ের যদি ৭.৫ শতাংশের বেশি ইকুইটি থাকে, তাহলে অতিরিক্ত অর্থ সরকারে স্থানান্তর করা যেতে পারে। কিন্তু যদি তা নির্ধারিত সীমার নীচে হয়, তাহলে সরকার ন্যূনতম মূলধন স্তর ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত কোনও ডিভিডেন্ড পাবে না।আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরে জাপানকে পিছনে ফেলে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হতে চলেছে ভারত। অন্তত তেমনই মনে করছেন অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা।



















