Gold Reserves: জানুয়ারি থেকে মার্চেই ৭ মেট্রিক টন, এক বছরেই বিরাট লাফ, রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের সোনার সঞ্চয় বাড়ল
Reserve Bank of India:সোমবার বছরের অর্ধেক সময়ের হিসেব দিতে গিয়ে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে RBI.
নয়দিল্লি: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-র (RBI) সঞ্চিত সোনার পরিমাণে বিরাট লাফ। একবছরে সঞ্চিত সোনা বাড়ল ৩৪.২২ মেট্রিক টন (Gold Reserves)। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঞ্চিত সোনার পরিমাণ দাঁড়াল ৭৯৪.৬৪ মেট্রিক টন। ২০২৩ সালের মার্চ মাসের শেষ অবধি এই হিসেব পাওয়া গিয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে সঞ্চিত সোনার পরিমাণ ছিল ৬৯৫.৩১ মেট্রিক টন। ২০২২-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা বেড়ে ৭৬০.৪২ মেট্রিক টন হয় (Gold Reserve Fund)।
সোমবার বছরের অর্ধেক সময়ের হিসেব দিতে গিয়ে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে RBI. তারা জানিয়েছে, ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সঞ্চিত সোনার পরিমাণ ৭৯৪.৬৪ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৫৬.৩২ মেট্রিক টন সোনা গ্রাহকের জমা রাখা সোনা, যা RBI অধীনস্থ ব্যাঙ্কে বিভিন্ন খাতে জমা করেন সাধারণ মানুষ।
যে ৭৯৪.৬৪ মেট্রিক টন সঞ্চিত সোনার কথা জানিয়েছে RBI, তার মধ্যে ৪৩৭.২২ টন সোনা বিদেশে নিরাপদে রাখা রয়েছে। ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড এবং ব্যাঙ্ক অফ ইন্টারন্যাশনাল সেটলমেন্টস-এ (BIS) রয়েছে এই সোনা। এই ব্যাঙ্ক অফ ইন্টারন্যাশনাল সেটলমেন্টস আসলে একটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, যা আন্তর্জাতিক নজরদারি এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতায় চলে। ৩০১.১০ টন সোনা মজুত রয়েছে দেশের অন্দরে।
সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারের হিসেব ধরলে, তাতে সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রা, সোনা এবং অন্য আরও নানা হিসেব থাকে। তাতে এ বছর মার্চের শেষে সোনার সঞ্চয়ই বেড়েছে ৭.৮১ শতাংশ। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধির হার ৭.০৬ শতাংশ ছিল। সবমিলিয়ে এ বছর মার্চের শেষ পর্যন্ত ভারতের মোট সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ ৫৭৮.৪৫ বিলিয়ন ডলারে এসে ঠেকেছে। এর মধ্যে সঞ্চিত সোনার মূল্য ৪৫.২ বিলিয়ন ডলার।
সম্প্রতি ওয়রল্ড গোল্ট কাউন্সিল (WGC)-এর একটি রিপোর্টে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্তই শুধুমাত্র ৭ মেট্রিক টন সোনা RBI-এর দখলে এসেছে। বিগত পাঁচ-ছয় বছর ধরে সোনার সঞ্চয় বাড়াচ্ছে RBI. অন্য দেশের দেশের রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কগুলিও সোনা কিনতে শুরু করেছে। সেই তালিকায় রয়েছে পিপলস ব্যাঙ্ক অফ চায়না (PBoC), সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ দ্য রিপাবলিক অফ টার্কি। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় বাড়ানোই এর মূল লক্ষ্য় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।