Retail Inflation: গত ৮ বছরের মধ্যে সবথেকে কম মূল্যবৃদ্ধি খাদ্যপণ্যের, জুলাইয়ে কমেছে মুদ্রাস্ফীতির হার- স্বস্তি আম আদমির
Retail Inflation Reduces: জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের পরে সর্বনিম্ন। জুলাই মাসে গ্রামীণ মুদ্রাস্ফীতি জুনের ১.৭২ শতাংশ থেকে কমে ১.১৮ শতাংশে পরিণত হয়েছে।

Inflation: দেশের মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে স্বস্তি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। জুলাই মাসে ব্যাপক হারে কমে গিয়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। আর তাই এই মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার নেমে এসেছে ১.৫৫ শতাংশে যা কিনা গত ৮ বছরের সর্বনিম্ন স্তর। সরকারি তথ্য অনুসারে ২০১৭ সালের জুন মাসের পরে এটিই সর্বনিম্ন খুচরো মুদ্রাস্ফীতির স্তর। জুলাই মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি এই বছরের জুনের ২.১ শতাংশের তুলনায় ৫৫ বেসিস পয়েন্ট কম ছিল যা ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির সর্বনিম্ন স্তর।
মুদ্রাস্ফীতির গতি ঋণাত্মক
এই বছর জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি গত বছরের একই মাসের তুলনায় -১.৭৬ শতাংশ নেতিবাচক জোনে নেমে এসেছে। জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে খাদ্যের মুদ্রাস্ফীতিও ৭৫ বেসিস পয়েন্ট কমেছে। খাদ্যের মুদ্রাস্ফীতি ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাসে মূল মুদ্রাস্ফীতি ও খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতির এই ঘাটতি হয়েছে ডাল, শাকসবজি, শস্যদানা, ডিম ও চিনির দাম কমার কারণে।
জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের পরে সর্বনিম্ন। জুলাই মাসে গ্রামীণ মুদ্রাস্ফীতি জুনের ১.৭২ শতাংশ থেকে কমে ১.১৮ শতাংশে পরিণত হয়েছে। যেখানে শহরাঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতি একই সময়ের ২.৫৬ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ২.০৫ শতাংশ।
বাড়ি-জমির মুদ্রাস্ফীতি ৩.১৭ শতাংশে স্থিতিশীল রয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষার মুদ্রাস্ফীতি ৪.৩৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৪ শতাংশ, স্বাস্থ্যসেবার মুদ্রাস্ফীতি এক মাস আগের ৪.৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪.৫৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এই রাজ্যগুলিতে সবথেকে কম মুদ্রাস্ফীতি
কেরালায় সবথেকে কম রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি, রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৮৯ শতাংশে। এর পরে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর (৩.৭৭ শতাংশ) পঞ্জাব (৩.৫৩ শতাংশ), কর্ণাটক (২.৭৩ শতাংশ) এবং মহারাষ্ট্র (২.২৮ শতাংশ)। এর সঙ্গে সঙ্গেই পরিবহন ও যোগাযোগের মুদ্রাস্ফীতি জুন মাসে ৩.৯০ শতাংশ থেকে কমে জুলাই মাসে হয়েছে ২.১২ শতাংশ। আর জ্বালানি ও হালকা পণ্যের মুদ্রাস্ফীতি ২.৫৫ শতাংশ থেকে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ২.৬৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুলাই মাসে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার কমে হয়েছে ২.১ শতাংশ। গত বছর জুন মাসে সারা দেশের মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছিল বর্ধিত ৫.০৮ শতাংশের মুদ্রাস্ফীতি। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে খুচরো পণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১.৯৭ শতাংশে যা গত ৬ বছরে ছিল সর্বনিম্ন।






















