SEBI Ban: বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করে ১১.৩ কোটির অনৈতিক মুনাফা ! এই জনপ্রিয় স্টক মার্কেট বিশেষজ্ঞকে নিষিদ্ধ করল সেবি
SEBI Ban: জানা গিয়েছে সমাজমাধ্যম এবং টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে স্টক কেনার পরামর্শ দিতেন সঞ্জীব ভাসিন এবং নিজের মুনাফার জন্য শেয়ারের প্রাইস মুভমেন্টকে প্ররোচিত করতেন।

SEBI Order: সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি)-র তরফে বাজার কারসাজির অভিযোগে বিশিষ্ট বাজার বিশেষজ্ঞ তথা আইআইএফএল সিকিউরিটিজের প্রাক্তন পরিচালক সঞ্জীব ভাসিন এবং আরও ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি অন্তর্বর্তীকালীন এক তরফা আদেশ জারি করেছে। এই আদেশ অনুসারে, অভিযুক্তরা ১১.৩ কোটি টাকারও বেশি অবৈধভাবে লাভ (SEBI Order) করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এখন সেবি এই টাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। এমনকী শুধু তাই নয়, এই সমগ্র মামলাটি মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহারের উপর ভিত্তি (SEBI Ban) করেই আবর্তিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বাগ্রে সেবির তরফে বাজার বিশেষজ্ঞ সঞ্জীব ভাসিনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইকুইটি এবং ডেরিভেটিভ বাজার থেকে।
জানা গিয়েছে সমাজমাধ্যম এবং টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে স্টক কেনার পরামর্শ দিতেন সঞ্জীব ভাসিন এবং নিজের মুনাফার জন্য শেয়ারের প্রাইস মুভমেন্টকে প্ররোচিত করতেন। সেবি জানিয়েছে যে সঞ্জীব ভাসিন এবং অন্যান্যরা জালিয়াতি এবং অনৈতিক বাণিজ্যিক অভ্যাসের, রিসার্চ অ্যানালিস্টের নিয়মবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ২০২৩ সালে সঞ্জীব ভাসিনের বিরুদ্ধে পরপর তিনবার স্টক ম্যানিপুলেশনের অভিযোগ আসার পরেই সেবি তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত অনুসন্ধান শুরু করে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে তদন্ত চালিয়েছে সেবি।
সেবি এই তদন্ত থেকে জানিয়েছে যে সঞ্জীব ভাসিন সংবাদ চ্যানেলে এসে প্রায়ই তাঁর অনুরাগীদের স্টক কেনার পরামর্শ দিতেন এবং তারপরে নিজের পজিশন ঐ স্টকে স্কোয়ার অফ করতেন, আর কয়েক মিনিটের মধ্যেই এই কাজ করে ফেলতেন তিনি। তিনি নিজে আইআইএফএলের ডিরেক্টর হলেও তাঁর সমস্ত ট্রেড করা হত আরআরবি মাস্টার সিকিউরিটিজ দিল্লি লিমিটেড ব্রোকারেজের মাধ্যমে। আর এই ট্রেডগুলি করা হত তাঁর নিজের নয়, বরং ভেনাস পোর্টফোলিও, জেমিনি পোর্টফোলিও, এইচবি স্টক হোল্ডিংস লিমিটেড ইত্যাদি ক্লায়েন্টের মাধ্যমে।
এমনকী জানা গিয়েছে তদন্তের সময়ে ভাসিনের কাছে তিনটি পৃথক ফোন নম্বর ছিল। এর মধ্যে একটি ছিল তাঁর স্ত্রীর নম্বর যা দিয়ে অর্ডার প্লেস করা হত মূলত। আর এই নম্বর দিয়েই আরআরবি মাস্টারের সঙ্গে ডিল করতেন তিনি। আর এই সমস্ত ফোনই করা হয়েছে বাজার খোলা থাকার সময়।
২০১৭ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আইআইএফএল সিকিউরিটিজ সংস্থার ডিরেক্টর পদে আসীন ছিলেন সঞ্জীব ভাসিন। পরে ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৭ জুন পর্যন্ত এই সংস্থার কনসালট্যান্ট পদে আসীন ছিলেন তিনি।























