Tata Sons on Big Basket: অনলাইন গ্রসারি মার্কেটে বিনিয়োগ, বিগ বাস্কেটের 'মেজোরিটি স্টেক' নিল টাটা
এবার অনলাইন গ্রসারি মার্কেটে বড় বিনিয়োগ করল টাটা সন্স। বিগ বাস্কেটের অধিকাংশ কিনে নিল এই কর্পোরেট জায়ান্ট। কোভিডকালে এমনিতেই বাড়ি বসে অনলাইন বাজারে ঝুঁকছে দেশবাসী। ব্যবসায়িক মহলের ধারণা, অদূর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাটা ব্র্যান্ড।
নয়া দিল্লি : এবার অনলাইন গ্রসারি মার্কেটে বড় বিনিয়োগ করল টাটা সন্স। বিগ বাস্কেটের অধিকাংশ কিনে নিল এই কর্পোরেট জায়ান্ট। কোভিডকালে এমনিতেই বাড়ি বসে অনলাইন বাজারে ঝুঁকছে দেশবাসী। ব্যবসায়িক মহলের ধারণা, অদূর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাটা ব্র্যান্ড।
সংক্রমণের আশঙ্কায় বাজারে যাওয়ার সাহস কুলোচ্ছে না অনেকের। বাড়ি বসেই অনলাইনে মুদি বাজারের সুযোগ নিচ্ছেন অধিকাংশ। দেশের কোভিড পরিস্থিতি বলছে, দ্বিতীয় ঢেউ চলে গেলেও তৃতীয়ের দিন গুণছে ভারত। সেকারণে আগামী দিনেও অনলাইন মুদি বাজারই যে ভবিষ্যৎ তা বুঝতে দেরি করেনি টাটা গোষ্ঠী। সুযোগ বুঝেই বিগ বাস্কেটের মতো অনলাইন গ্রসারিতে বিনিয়োগ করল টাটা সন্স-এর নিজস্ব সহায়ক কোম্পানি টাটা ডিজিটাল।
এই বিনিয়োগের ফলে রাতারাতি ই-কমার্স জায়ান্ট ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন, জিওমার্ট, গ্রফার্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ল টাটা সন্স। অনলাইন মুদি বাজারে প্রচার পেতে খুব একটা দেরি হয়নি বিগ বাস্কেটের। কিছুদিনের মধ্যেই গ্রসারি দুনিয়ায় নিজেদের ব্র্যান্ড নেম গড়েছিল কোম্পানি। তাই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিগ বাস্কেটকেই বেছে নেয় টাটা ডিজিটাল।
এ প্রসঙ্গে টাটা ডিজিটালের সিইও প্রতীক পাল বলেন, '' ভারতের মতো দেশে মুদি সামগ্রীর জন্য সবথেকে বেশি খরচ করেন কোনও ব্যক্তি। বিগ বাস্কেট এখন দেশের সবথেকে বড় ই-গ্রসারি প্লেয়ার। বাজারের বড় অংশের ডিজিটাল উপভোক্তা ধরতে আমাদের চিন্তাধারার সঙ্গে একেবারে মিলে যায় বিগ বাস্কেটের নাম। বিগ বাস্কেটকে টাটা ডিজিটালের একটা অংশ হিসাবে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।''
গত এপ্রিল মাসেই 'কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া' টাটা ডিজিটালের এই অংশিদারিত্বে অনুমতি দেয়। নতুন চুক্তি অনুযায়ী, অনলাইন গ্রসারি প্লেয়ার বিগ বাস্কেটের সর্বোচ্চ ৬৪.৩ শতাংশের অংশীদার টাটা ডিজিটাল। ২০১১ সালে ব্যাঙ্গালোরে পথ চলা শুরু বিগ বাস্কেটের। বর্তমানে সারা দেশের ২৫টি শহরে রয়েছে বিগ বাস্কেট।
সম্প্রতি সুপার অ্যাপ লঞ্চ করার ঘোষণা করেছে টাটা গোষ্ঠী। কোম্পানির দাবি, সেই একটি অ্যাপের মাধ্যমেই টাটার বিভিন্ন শপিং প্ল্যাটফর্মকে জুড়ে দেওয়া হবে। যেখানে ফুড ডেলিভারি সিস্টেম (কিউমিন) ছাড়াও টাটা ক্লিক (লাইফস্টাইল শপিং), ক্রোমার (ইলেকট্রনিক শপিংয়ের) মতো অ্যাপ থাকবে। ২০২২ সালেই এই অ্যাপ লঞ্চ করতে পারে টাটা গোষ্ঠী।