Layoff: ফের টেক দুনিয়ায় আতঙ্ক ! ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা এই সংস্থার; কাদের চাকরি সঙ্কটে ?
Job Cuts: এই কর্মী ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে কনসালট্যান্ট, কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি উদ্যোগ, ক্লাউড পরিকাঠামো, সেলস ও সংস্থার চিফ ইনফর্মেশন অফিসে কর্মরত যে কোনও কর্মীর চাকরি যেতে পারে।

IBM Layoff: টেক দুনিয়ায় ফের বড় আতঙ্ক। এই সংস্থার কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে প্রায় ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে। মূলত বড় মাপের কর্পোরেট পুনর্গঠনের কারণে এই কর্মী ছাঁটাই হবে বলেই জানা গিয়েছে সংস্থার তরফে। তবে মূলত আমেরিকার বেশিরভাগ অফিস থেকেই এই ছাঁটাই করা হবে। দ্য রেজিস্টারের রিপোর্ট অনুসারে আইবিএম (IBM Layoff) সংস্থার ক্লাউড ক্লাসিক বিভাগের এক চতুর্থাংশ কর্মীকেই ছাঁটাই করা হবে। তবে ঠিক কত জনকে চাকরি থেকে বহিস্কার করা হবে, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু ঘোষণা করেনি সংস্থা। আইবিএমের (Layoff News) কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক চরমে।
এই সেগমেন্টের কর্মীদের বেশি সঙ্কট
এই রিপোর্ট অনুসারে সংস্থা যে পদক্ষেপ করেছে তার কারণে ক্যালিফোর্ণিয়া, নিউইয়র্ক, টেক্সাস, ডালাস, রেলিঘ, উত্তর ক্যারোলিনার কর্মীদের চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই কর্মী ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে কনসালট্যান্ট, কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি উদ্যোগ, ক্লাউড পরিকাঠামো, সেলস ও আইবিএমের চিফ ইনফর্মেশন অফিসে কর্মরত যে কোনও কর্মীর চাকরি যেতে পারে। সংস্থা থেকে এই বিভাগের কর্মীদেরই সরানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
আইবিএম ক্লাউড ক্লাসিক বিভাগ থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ের মূল কারণ রয়েছে আমেরিকা থেকে সংস্থা চায় চাকরির স্থান বদল করে ভারতে করতে। আইবিএম ধীরে ধীরে বিদেশেও তাদের সংস্থাকে শিফট করছে। আর বারে হয়ত এই কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এই কর্পোরেট পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে।
কর্মীদের অন্যত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করছে আইবিএম
ভারতে বেঙ্গালুরু, পুনে, চেন্নাই, হায়দরাবাদে অফিস রয়েছে আইবিএমের। দ্য রেজিস্টার সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে আইবিএমের কাছে এখন আমেরিকার থেকেও ভারতে বেশি কর্মসংস্থানের দরকার রয়েছে। আইবিএমের সিইও অরবিন্দ কৃষ্ণ আগেই আমেরিকা থেকে ভারতে কর্মী পাঠানোর বা শিফট করানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। এর আগে একটি রিপোর্টে সংস্থা জানিয়েছিল যে তারা কম খরচসাপেক্ষ দেশগুলিতে কর্মী নিয়োগের দিকে বেশি জোর দিচ্ছে। আর বাইরের দেশ থেকে এর জন্য কন্ট্রাক্ট নেওয়া শুরু করেছে যাতে সংস্থা অনেক বেশি মুনাফা করতে পারে।
সংস্থার নতুন কর্মনীতির কারণে আমেরিকায় কর্মরত বাকি কর্মীরাও প্রভাবিত হবে। যাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হবে না, তাদের অফিসে আসতে বলা হয়েছে এবং সপ্তাহে তিন দিন ন্যূনতম অফিসে এসে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে।






















