(Source: Poll of Polls)
Cyber Fraud : UPI-এর নতুন ফিচার দিয়ে হচ্ছে জালিয়াতি, এক ক্লিকেই খালি হবে অ্যাকাউন্ট !
UPI Fraud : সেই কারণে UPI-কে কাজে লাগিয়ে জালিয়াতি করছে প্রতারকরা।

UPI Fraud: ডিজিটালাইজেশনের (Digital India) ভারতে সুবিধার পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে সমস্যা। অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থায় (Online Payment System) টাকা পাঠানোর সুবিধা থাকলেও নতুন করে সমস্যা তৈরি করছে প্রতারণার জাল (Cyber Fraud)। বর্তমানে কাউকে টাকা পাঠানো হোক বা বিল শোধ, ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস (UPI) এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিক পেমেন্ট আমাদের অভ্য়াসে পরিণত হয়েছে। সেই কারণে UPI-কে কাজে লাগিয়ে জালিয়াতি করছে প্রতারকরা।
UPI এখন লেনদেনে মানুষের প্রথম পছন্দ
ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) অনুসারে, ২০২৪ সালে UPI-এর মাধ্যমে প্রায় ২০.৬৪ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে, ১৬.৯৯ বিলিয়ন লেনদেনের মাধ্যমে মোট ২৩.৪৮ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে। UPI-এর বিশেষত্বের পাশাপাশি, এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এটি যত বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে, জালিয়াতির ঘটনা তত বেশি সামনে আসছে।
সাইবার ঠগরা নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে
UPI সিস্টেম QR কোড বা UPI আইডির মাধ্যমে লেনদেন সহজ করে দিয়েছে, কিন্তু সাইবার ঠগরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে কয়েক মিনিটের মধ্যে মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করে ফেলছে। আজ আমরা আপনাকে একটি নতুন জালিয়াতির কথা বলব, যার নাম UPI অটো-পে রিকোয়েস্ট।
অনেক সময় মানুষ মোবাইল রিচার্জ, বিমা পেমেন্ট, ক্রেডিট কার্ড বিল, বিদ্যুৎ বিল, ঋণ পরিশোধের তারিখ মনে রাখে না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য, NPCI 2020 সালে 'UPI অটো-পে' বৈশিষ্ট্য চালু করে। এতে, ব্যবহারকারীদের অনুমোদনের সাথে নির্ধারিত তারিখে অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা কেটে নেওয়া হয়। এটি সময়মত পেমেন্ট নিশ্চিত করে এবং এতে কোনও পেমেন্টে দেরি হয় না।
কীভাবে জালিয়াতি হচ্ছে ?
এখন যেহেতু UPI অটো-পেতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা কেটে নেওয়া হয়, তাই সাইবার ঠগরা 'অটো-পে রিকোয়েস্ট' পাঠিয়ে মানুষকে ফাঁদে ফেলছে। সাইবার অপরাধীরা ব্যবহারকারীদের টাকা পাঠানোর অনুরোধের নামে প্রতারণা করছে। তারা SMS, ইমেল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় জাল লিঙ্ক পাঠাচ্ছে, যেখানে ক্লিক করলে টাকা কেটে যাচ্ছে ।
১ স্ক্যামাররা ব্যাঙ্ক বা ইউপিআই কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধ হওয়ার ভান করে লোকজনকে ফোন করছে এবং তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তারা ব্যবহারকারীকে অটো-পে অ্যাক্টিভেট করার জন্য একটি পিন লিখতে বলে ও পিন এন্টার করার পর, অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।
২ অনেক ক্ষেত্রে সস্তা সাবস্ক্রিপশনের প্রতিশ্রুতি দিয়েও লোকেদের প্রলোভিত করা হচ্ছে। একবার পেমেন্ট করলে, প্রতি মাসে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা স্থানান্তর করার সেটিং স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে।
৩ এছাড়াও, ক্যাশব্যাক ও অটো পে দিয়ে লোকেদের প্রলুব্ধ করে অটো-পে অনুরোধগুলিও গ্রহণ করা হচ্ছে। অতএব, লোভে অজানা লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করা এড়িয়ে চলুন। আপনি যদি প্রতারণার শিকার হন, তাহলে ইউপিআই অ্যাপে 'রিপোর্ট ফ্রড' বা 'রিপোর্ট ডিসপিউট' বিকল্পে ক্লিক করুন। আপনার অভিযোগ নথিভুক্ত করুন। আপনি যদি চান, আপনি ব্যাঙ্কে লিখিত অভিযোগও জমা দিতে পারেন।























