Corona In CBI & Kolkata Police : করোনা-থাবা এবার সিবিআই ও কলকাতা পুলিশের দফতরে ! আক্রান্ত একের পর এক
Corona In CBI & Kolkata Police : সিবিআই সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে ৪০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চলবে কাজ। বাকিরা থাকবেন কোয়ারেন্টিনে।
কলকাতা : করোনার থাবা এবার সিবিআই (CBI) অফিসে। সূত্রের খবর, নিজাম প্যালেস (Nizam Palace) ও সল্টলেকের সিজিও (Saltlake CGO) কমপ্লেক্স মিলিয়ে ১৩ জন সিবিআই অফিসার করোনা আক্রান্ত। এদের মধ্যে রয়েছেন সিবিআইয়ের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, চিটফান্ড তদন্ত ও দুর্নীতিদমন শাখার অফিসাররা।
সিবিআই সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে ৪০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চলবে কাজ। বাকিরা থাকবেন কোয়ারেন্টিনে। সিবিআইয়ের দুটি অফিসই স্যানিটাইজ (Sanitize) করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন :
আগেরবার সঙ্কটজনক অবস্থা থেকে সুস্থ হয়েছিলেন, আবারও করোনা-কবলে বেনিয়াপুকুর থানার ওসি
অন্যদিকে, কলকাতা পুলিশেও বাড়ছে সংক্রমণ। দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত বেনিয়াপুকুর থানার ওসি। রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। এর আগেও করোনা আক্রান্ত হন বেনিয়াপুকুর থানার ওসি অলোক সরকার। শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় সেবার ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। করোনার থাবা ভবানীপুর থানায়। ওসি ও অ্যাডিশনাল ওসি ছাড়া আক্রান্ত থানার ৩০ জন পুলিশ কর্মী। এই পরিস্থিতিতে থানার স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা।
সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক অরিজিৎ সিন্হাও। মৃদু উপসর্গ নিয়ে রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। বর্ষবরণের রাতে ডিউটিতে ছিলেন ডিসি ট্রাফিক।
দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত জয়েন্ট সিপি এসটিএফ ভি সলোমন নিশাকুমার। রয়েছেন হোম আইসোলেশনে।
এর আগে করোনা আক্রান্ত হন ডিসি পোর্ট, ডিসি সাউথ, ডিসি ট্রাফিক সাউথ, ডিসি ফোর্থ ব্যাটেলিয়ন, ডিসি ডিডি স্পেশাল, ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের এক শীর্ষ কর্তা, জয়েন্ট সিপি ট্রাফিক, অ্যাডিশনাল সিপি থ্রি দেবাশিস বড়াল-সহ কলকাতা পুলিশের একাধিক কর্তা।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি :
রাজ্যে করোনায় একদিনে প্রায় ৩ হাজার সংক্রমণ বৃদ্ধি। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৯ হাজার ৭৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৭৮। আক্রান্তের পাশাপাশি এদিন দৈনিক মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ১৬। একইসঙ্গে আজ কলকাতায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। একদিনে কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৭৫৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় প্রায় ১ হাজার চারশো জন আক্রান্ত হয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়ার মতো জেলাতেও ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণ।